Crime News tv 24
ঢাকামঙ্গলবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চিলাহাটি রেল প্রকল্পে সংগঠিত রাষ্ট্রলুট—ঠিকাদার কাজী নাবিলকে ঘিরে দুর্নীতির গভীরতম অন্ধকার উন্মোচনের পর্ব–১

মেহেদী হাসান রাজশাহী ব্যুরোঃ-
নভেম্বর ১৮, ২০২৫ ৪:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চিলাহাটি ব্রডগেজ রেল প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে চলা নীরব লুট, অদৃশ্য সিন্দুক খোলা, বিল উত্তোলনের ছদ্মবেশে সরকারি অর্থ আত্মসাত এবং প্রকল্প ত্যাগ করে উধাও হয়ে যাওয়া ঠিকাদার,সব মিলিয়ে প্রকল্পটির চারপাশে এখন গভীর দুর্নীতির কালো ছায়া ঘনীভূত হয়েছে।

সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন যশোর ৩ আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, যাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কনস্ট্রাকশন কাজের বড় অংশ ফেলে রেখে প্রকল্প এলাকা থেকে সরে যায়, অথচ তিনি কাগজ কলমে দেখানো হয়েছে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে যা নিয়ে এখন রেলের ভিতরেই প্রশ্নের ঝড় উঠেছে।

জানাযায়, এ সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি অডিট ও পরিদর্শনে বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ তথ্য,ওয়াশ পিটে রেললাইন নেই, সোক ওয়েল মানহীন, জয়েন্ট কলাম ফেটে গেছে, প্ল্যাটফর্ম ও ইলেকট্রিক্যালের কাজ নেই বললেই চলে তবুও অলৌকিক ক্ষমতার দাপটে ঠিকাদারি কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে অবৈধভাবে বিল উত্তোলন করেছেন ঠিকাদার কাজী নাবিল।

অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারকে সুবিধা দিতে প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন। এমনকি প্রকল্পের অর্থে কেনা ৭৫ লাখ টাকার পাজেরো স্পোর্টস গাড়ি তিনি এখনো ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

রেলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার হঠাৎ সম্পদের পাহাড় বনে গেছে। সাইট ইঞ্জিনিয়ার, অফিস সহকারী থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা পর্যন্ত নতুন গাড়ি, জমি আর বাড়ির মালিক হয়েছেন যা তাদের সরকারি বেতনের সঙ্গে কোনো ভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নেই। এ অবস্থা দেখে পরিষ্কার এই প্রকল্প কেবল নির্মাণ কাজ নয়, দুর্নীতিকে ঢালাও ভাবে পুঁজি করার একটি সুবিশাল ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের চোখ ধাঁধানো রহস্যময়ী সব তথ্য আগামী পর্বে প্রকাশ হবে।

এ বিষয়ে পশ্চিম রেলওয়ের জিএম ফরিদ আহমেদ জানান, ঠিকাদার কাজী নাবিলকে কেন্দ্র করে অভিযোগের তদন্ত চলছে, এবং পিডি আব্দুর রহিম বিষয়গুলো ডিজিকে অবহিত করেছেন।

তবে রেল প্রশাসনের ভেতরেই গুঞ্জন, যেখানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকল্প ছেড়ে পালিয়েছে, সেখানে তদন্ত কতটা কার্যকর হবে, আর কতটুকুই বা উদ্ধার হবে সরকারের ক্ষতি।

চিলাহাটি রেল প্রকল্প এখন মেগা উন্নয়ন নয়, বরং মেগা দুর্নীতি, মেগা লুটের প্রতীক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে তীব্র প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আর এই লুট দুর্নীতির পুরো চক্রের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ঠিকাদার কাজী নাবিল। এমনটাই বলছে মাঠপর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র। পুরো রেল অঙ্গনে প্রশ্ন এখন একটাই এই লুটপাটের নেপথ্যের আসল হোতারা কি বিচারের মুখ দেখবে, নাকি আবারও প্রভাবের ছায়ায় আড়াল হয়ে যাবে সব অপরাধ।