Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাগমারায় গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন সরালেন শিক্ষার্থীরা।

admin
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

মোঃ আতাউর রহমান  রাজশাহী প্রতিনিধি:-

রাজশাহীর বাগমারা ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাস্তার দু’পাশের গাছগুলো থেকে পেরেক সাইনবোর্ড ও ব্যানার তুলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় এ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

গাছপালায় প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে পেরেক ঠুকে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। এছাড়া গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড-বিজ্ঞাপন লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে এবিষয়ে একটি আইন পাস হয়।

এবিষয়ে পরিবেশবিদরা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের যে জায়গাটায় ছিদ্র হয় সেই ছিদ্র দিয়ে পচা পানি, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব প্রবেশ করার ফলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এতে খাদ্য ও পানি শোষণপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে গাছগুলো মারা যেতে পারে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা প্রয়োজন, সেখানে উল্টো গাছের ক্ষতি করে চলেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট, ভবানীগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসা হতে সুইট গেট পর্যন্ত দুই রাস্তার পাশের গাছগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পেরেক ঠুকে ঝুলানো হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসকের বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্রচার-প্রচারণার অসংখ্য সাইনবোর্ড-ব্যানার, ফেস্টুনও। তাতে পিছিয়ে নেই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোর প্রচারণাও। গাছগুলোর চিত্র দেখে মনে হবে একেকটি বিজ্ঞাপন বোর্ড।

এদিকে গাছে পেরেক ঠোকানো দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও বাস্তবে তার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এমন অপরাধ থামছেই না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, গাছে পেরেক ঠুকলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এতে তাদের ক্ষতি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের প্রকৃতির প্রতি সহনশীলতা বাড়ানো উচিত। বৃক্ষ ছাড়া আমরা বাঁচতেই পারবো না।
গাছ আমাদেরকে অক্সিজেন নিতে সাহায্য করে। গাছে পেরেক ঠোকা মানে ও গাছ আর স্থায়ী হতে পারে না। রাস্তার দু’পাশের অনেক গাছ দিন দিন মারা যাচ্ছে। গাছে পেরেক ঠোকানো হলে গাছ মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়। এক পর্যায়ে গাছগুলোকে মারা যেতেও দেখা যায়। গাছকে হত্যা করা মানে পরিবেশকে হত্যা করার সামিল। সমাজের পরিবেশ রক্ষার্থে গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের সকলের উচিত ধ্বংস না করে গাছ লাগানো উচিত।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা আর বলেন, গাছের জীবন নষ্ট করার অধিকার কারোই নেই। এখানে সচেতনতার বড় অভাব রয়েছে। সরকার আইন করেছে কিন্তু আইনকে যারা বাস্তবায়ন করবে তারা সঠিকভাবে সেটা পালন করছে না। কোনোভাবেই এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে যদি সকলকে সচেতন করা যায় তাহলে আগামী দিনে গাছ নিধন কমে আসবে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।