সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ওরফে চিংকু আমিরুলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, লুটপাট, পুকুর দখল, মাছ লুটসহ দাপট দেখিয়ে মানুষকে হয়রানির মতো কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এমন ঘটনায় একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন মহলে তৎপরতা শুরু হয়। দলীয় ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সংবাদটি প্রকাশের পর দলীয় নেতাকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি সামাল দিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। কেউ কেউ সংবাদ মাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টিরও চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যেহেতু অভিযোগগুলো গুরুত্বর, তাই সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।
উক্ত ঘটনায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ,ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস মূলকের সত্য ঘটনার নিউজ প্রকাশ করার পর সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।এবং আগামীতে যেনেও কোনও চাঁদাবাজরা মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেই জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি রাখতে বলেন।
সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ পূর্বপাড়া মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর একজন সদস্য নজরুল ইসলাম গত ১৩ এপ্রিল সলঙ্গা থানা, উল্লাপাড়া উপজেলা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম সহ কয়েক জন ব্যক্তি গত ১২/০৪/২০২৫ ইং তারিখে আমাদের নিকট হইতে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা নেয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ সেনাবাহিনী সেনাবাহিনী উল্লাপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম সংবাদটিকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে প্রকাশ হয়েছে দাবি করে করেন।
উল্লেখ্য, আমিরুল ইসলামের কাছে তার ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা নিরাপদ নয়। তাদের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তথ্য সংবাদ কর্মীর হাতে রয়েছে।
