সাভার প্রতিনিধি:-
সাবেক সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এবং বর্তমানে বিএনপির সহযোগী সংগঠন সৈনিক দলের স্থানীয় নেতা নাসির উদ্দিন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামী আবু সাইদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সুমন শেখ। সুমন দাবি করে বলেন, নাসির ও আবু সাইদ ব্যবসায়িক লেনদেনের সূত্র ধরে তার নিকট থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন, যার প্রমান হিসেবে দলিল রয়েছে কিন্তু সময়মতো টাকা পরিশোধ না করে উল্টো তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ী মো. সুমন শেখ জানান, একাধিক দফায় ব্যবসায়িক পার্টনার নাসির উদ্দিন তার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন। যখন তিনি পাওনা টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন, তখন থেকেই শুরু হয় ভয়ভীতির রাজনীতি। সুমনের ভাষ্যমতে, “প্রথমে তারা টাকা ফেরত দিতে তালবাহানা করে এবং পরে পাওনা টাকার কথা অস্বিকার। পরে একাধিকবার টাকা ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি দেয় যে, টাকা চাইলে এবং চাপাচাপি করলে আমাকে মেরে ফেলে দিবে নাছির ও সাইদ।
তাদের ভয়ে সামনে না গিয়ে ফোনে টাকা ফেরত চাইতেই আমাকে বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজ করে নাছির যার অডিও ফোন রেকর্ড আমার কাছে রয়েছে। এখন আমার বাসায় দফায় দফায় বখাটে ভাড়াটে লোক পাঠাচ্ছে আমাকে ধরে আনার জন্য। আমি এখন তাদের ভয়ে পালিয়ে জীবন যাপন করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাসির উদ্দিন একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও সম্প্রতি বিএনপির সৈনিক দলের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামী আবু সাইদ নামের একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি জড়িত, যিনি সাভার অঞ্চলে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত।
সুমন শেখ বর্তমানে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন এই প্রতিবেদককে বার বার উচ্চ স্বরে বলেন, সুমনকে আমার সামনে আসতে বলেন, আমি সুমনের কলিজা টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলবো, আওয়ামী রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, এতদিন দেশের ৯০ শতাংশ লোক আওয়ামীলীগ করতো আমিও করেছি তবে এখন আমি কি তা আপনি আমান সরকার এবং বদিরের কাছ থেকে শুনে নিয়েন। এদিকে ভুক্তভোগী সুমনের পরিবার জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছেন।