মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় প্রকাশ্যে সংঘটিত এক দস্যুতার ঘটনায় জড়িত দুই দস্যুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানা এলাকার কাজিরবাজার থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা, একটি স্মার্টফোন, দস্যুতায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট, ধারালো দা এবং অপরাধ সংঘটনের সময় পরিহিত জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) নোবেল চাকমা।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী আব্দুল আহাদ গত ৩০ জুলাই দুপুরে পূবালী ব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। তিনি তার কন্যা সুহাদা আক্তার-এর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
সুহাদার ভ্যানিটি ব্যাগে আরও ১৬ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং স্মার্টফোন, দুই ভরি রুপার চেইন ও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার মালামাল ছিল ব্যাগটিতে।
বাড়ি ফেরার পথে শিমুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে দুইটি মোটরসাইকেলে আসা চারজন দস্যু তাদের গতিরোধ করে। পরে গলায় ধারালো দা ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরই ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে বড়লেখা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ।
পরবর্তীতে ১ আগস্ট সিলেট জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহপরান থানার কাজিরবাজার এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ১. সেলিম আহমদ ওরফে অনিক ওরফে ভটলা সেলিম, গ্রাম– কুলাউড়া, থানা– কুলাউড়া, জেলা– মৌলভীবাজার। ২. সাকিব আহমদ, পিতা– মৃত মানিক মিয়া, গ্রাম– মির মহল্লা, থানা– শাহপরান (এসএমপি), জেলা– সিলেট।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা, চৌকস অফিসার এসআই রতন কুমার হালদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিলেট অঞ্চলে সংঘটিত অন্যান্য ছিনতাই বা দস্যুতার ঘটনার সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
ভুক্তভোগীরা যদি এদের শনাক্ত করতে পারেন, তবে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।