স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সুমি আক্তার নামে এক তরুণী তার স্বামীর বসত বাড়িতে অনশন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হিড়িভিটা গ্রামের মোঃ হানিফ মিয়া পিতাঃ আলাল মিয়ার বাড়িতে।
অনশনরত সুমি আক্তার একই উপজেলার ভিতর গাঁও গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে হিরিভিটা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে তরুণী অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে সুমি আক্তারের শশ্বুর, শ্বাশুড়ি ও তার পরিবারের লোকেরা ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অনশনরত সুমি আক্তার বলেন গত ২৯.০৬.২০২৩ইং তারিখে তাদের পরিবারের সম্মতি না নিয়ে ৩ লাখ টাকা কাবিনমুলে ইসলামী শরিয়ত মতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রী ময়মনসিংহ শহরের সানকি পাড়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। সুখেই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু সুমি আক্তারের পরিবার গরিব বিধায় তার শ্বশুর-শাশুরী বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।প্রায় দুই বছর ঘর সংসার করার পর সুমি আক্তারের স্বামী মোঃ হানিফ মিয়ার পরিবারের চাপ সহ্য করতে না পেরে সে তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে ময়মনসিংহ বাসায় ফেলে রেখে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। এদিকে অসহায় সুমি আক্তার কোন উপায়ন্তর না দেখে তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর দাবি নিয়ে অনশন করতে থাকে। পরে সুমি আক্তারকে স্বামী হানিফের পরিবারের লোকেরা এসে মারধর করে ঘর থেকে বের করে মেইন ঘর তালা লাগিয়ে হানিফ মিয়ার পিতা মোঃ আলাল মিয়া বাড়ী থেকে চলে যায়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মোঃ হানিফ মিয়া ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে হানিফসহ তার পরিবারের কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি, ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বর্তমানে সবকুল হারিয়ে সুমি আক্তার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। না পারছে পিত্রালয়ে থাকতে, না পাচ্ছে স্বামীর স্বীকৃতি। সে সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরে আলম জানান, এব্যাপারে কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।