Crime News tv 24
ঢাকাবুধবার , ৩০ জুলাই ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালগঞ্জ জেলার চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন।

Link Copied!

আজ বুধবার ৩০ই জুলাই দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বিগত ১৬’ই জুলাই “জাতীয় নাগরিক পার্টির  (এনসিপি) পদযাত্রা নামক কর্মসূচিকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলাকে কেন্দ্র করে, গোপালগঞ্জের জনসাধারণের মাঝে ও রাজনৈতিকভাবে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে নির্দিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রশাসন কর্তৃক হওয়া অজ্ঞাত মামলায় নিরীহ জনগণকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সম্মানিত “জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর গণঅধিকার পরিষদ এর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও আমরা লক্ষ্য করছি এই গণগ্রেফতার এখনো বন্ধ হয়নি, সেই সাথে এটাও লক্ষ্য করছি এই নৈরাজ্য হয়ে উঠেছে কিছু ব্যক্তির স্বার্থসিদ্ধি আদায়ের কেন্দ্রস্থল।

গণঅধিকার পরিষদ” এর পক্ষ থেকে আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করছি, যদি এই সময়ের মধ্যে নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার বন্ধ করা ও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে নিরীহ জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে “গণঅধিকার পরিষদ” রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান। তাদের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। নিরীহ নিরা অপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতারের ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মোনায়েম বলেন, গত ১৬ই জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির আগমনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের দোসররা ছাড়াও, আমরা দোষী করবো এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উসকানি মুলক বক্তব্যকে। তাদের বক্তব্যে সুধু আওয়ামী লীগ নয় গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকেও বিষিয়ে তুলেছে। আমরা ভেবেছিলাম তারা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করবে, কিন্তু আমরা দেখলাম তাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব। এই কারণেই গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ আজ হয়রানির শিকার। আমরা গোপালগঞ্জের মানুষের এই ভোগান্তি মেনে নেব না। এই সংঘর্ষ কেন্দ্রিক গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের মধ্যে ৫টি লাশ পড়েছে। এই দায় ভার কে নেবে। প্রশাসনের এই উদাসীনতা আমরা মেনে নেব না। জুলাই আন্দোলন কখন বৃহৎ আকারে পরিণত হলো কোন আন্দোলনে লাশের গন্ধ পাওয়া গেল।সুতরাং গোপালগঞ্জ প্রশাসনকে আমরা বলতে চাই, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুন, নিরীহদের মুক্ত করুন।

তিনি আরো বলেন প্রশাসন কাদের সাথে হাত মিলিয়ে নিরাপরাধিদের গ্রেফতার করছে, কাদের সেল্টারে অপরাধীরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে, কাদের হাত ধরে মামলা বাণিজ্য চলছে তা আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি।সুতরাং তদন্ত সাপেক্ষে নিরীহদের হয়রানি বন্ধ করুন।

ঢাকা মহাণগর উত্তরের দপ্তর সেল কাজী রনি বলেন, গত বছর ৫ই আগস্ট স্বৈরচারী সরকারের  পতনের পর থেকে গোপালগঞ্জ যে কয়টি মামলা হয়েছে এবং এই মামলাগুলো নিয়ে প্রশাসন ও চিহিৃত কিছু বিএনপি নেতারা মামলা বাণিজ্য করে ভয়ংকর রূপে রাজনৈতিক পেক্ষাপট বিষাক্ত কেড়ে তুলেছে। এগুলো দ্রুত বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তিগত রেষ তো বন্ধ করতে হবে।

এনসিপি কেন্দ্রিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গণ মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধ করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

গোপালগঞ্জ জেলার গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যে যেখানের রাজনীতি করি গোপালগঞ্জ আমাদের জন্ম ভুমি এখানে কোন অন্যায় আমরা সহ্য করবো না।এনসিপির প্রোগ্রামের হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অপরদিকে গোপালগঞ্জে গ্রেফতারের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে তা বন্ধ করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। গোপালগঞ্জের সবাই আওয়ামী লীগ করে না সুতরাং গোপালগঞ্জকে নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলে আমরা মেনে নেব না। তিনি আরো বলেন গোপালগঞ্জের বিএনপির কিছু অসাধু নেতারা প্রশাসনের হাত ধরেই ভিলেজ পলিটিকস করে সাধারণ মানুষের নাম মামলায় দিয়ে মামলা বাণিজ্য করছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো এ বিষয়গুলো বন্ধ করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য, অন্যথায় আমরা গণঅধিকার কঠিন কর্মসূচি গ্রহন করতে বাদ্য হবো।

এসময় ইপস্থিত ছিলেনগোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের গনঅধিকারের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, উপস্থিত ছিলাম মোঃমহাসিন শেখ সাধারন সম্পাদক টুংগিপাড়া উপজেলা গন অধিকার পরিষদ মোঃ মোহাম্মদ সরদার সহসভাপতি টুংগিপাড়া উপজেলা গন অধিকার পরিষদ মোঃ আলফাজ শেখ প্রচার সম্পাদক টুংগিপাড়া উপজেলা গন অধিকার পরিষদ।