বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ডিঙ্গা মানিক এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে ওমর আলী (৬৫), কাউসার (২৫), অজুফা (৫০),ও বৃষ্টি (২০) গুরুত্বর জখম হয়েছে।আহত ওমর আলী ডিঙ্গা মানিক এলাকার মৃত্যু মুজাফফর ফকিরের ছেলে।অজুফা ওমর আলীর স্ত্রী, কাওসার, ওমর আলীর ছেলে ও বৃষ্টি পুত্রবধু। পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সূত্রে জানা গেছে,ওমর আলীর স্ত্রী অজুফা বেগমের পৈওিক সম্পত্তি থেকে বেশ কিছু জমি বাড়ির পার্শ্ববর্তী প্রতিপক্ষ শাহাদাত তাদের নামে রেকর্ড করে নেয়।এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।অজুফা ও তার বোন সুফিয়া বেগম শাহাদাতের বিরুদ্ধে আদালতে রেকর্ডশুটের মামলা দায়ের করে।
আর আদালতে মামলা করাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয় প্রতিপক্ষ শাহাদাত।বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে শাহাদাতের লোকজন অজুফা ও তার বোন সুফিয়াকে মারধর করে ও হুমকি ধামকি দেয়। এমন কি তাদের বাড়িতে মজগুণী সম্পত্তির চলাচলের রাস্তা থেকে চলাচলে বাধা প্রদান করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে অজুফা তার বোন সুফিয়াকে বাড়ির পিছন থেকে আগিয়ে দিতে গেলে প্রতিপক্ষ শাহাদাতের লোকজন অজুফাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে।এ সময় আপফান, মাহমুদা আকন,শহীদ, মিন্টু, জয়নাল,নার্গিস ও ময়ূরী সহ অজ্ঞাত আট দশ জন লাঠি ও রড নিয়ে অজুফা বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ সময় অজুফা বেগমের ডাক চিৎকারে তার স্বামী ওমর আলী, ছেলে কাউসার ও পুত্রবধূ বৃষ্টি তাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে আহতরা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।