ডিমলা উপজেলার অলিতে গলিতে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি ভয়াবহ বাস্তবতা—লটারি নামক জুয়ার আসর। সকাল থেকে সন্ধ্যা, এমনকি রাতেও, অটো রিকশা আর মাইকিং নিয়ে ছুটে চলা এই লটারির প্রচার কার্যক্রম এখন জনদুর্ভোগের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়েছে। অথচ, প্রশাসন ও প্রভাবশালী মহল রয়েছে যেন চোখ বন্ধ করে, নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৩০-৪০টি অটো রিকশা লটারি প্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেগুলোতে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে এলাকাবাসীর মানসিক শান্তি ভঙ্গ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়, মসজিদ, বাজার কিংবা হাসপাতাল—কোনো স্থানই বাদ যাচ্ছে না এই অপসংস্কৃতির আওতা থেকে।
অথচ আইন বলছে, এ ধরনের গণলটারি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি জুয়া আইনের পরিপন্থী। তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ালেও কোনও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
একজন অভিভাবক বলেন,
“আমার ছেলে এখন টাকার লোভে স্কুল ফাঁকি দিচ্ছে, শুধু লটারির টিকিট কিনবে বলে। এটা তো সমাজ ধ্বংসের নামান্তর।”
অনেকে অভিযোগ করছেন, এই লটারি থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্ছিত হচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও তথাকথিত প্রভাবশালীর পকেটে। প্রশাসনের অদৃশ্য সমর্থন ছাড়া দিনের পর দিন এমন তৎপরতা চালানো অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।