খুলনার রূপসায় রবিউল নামে এক ভ্যান চালক হত্যার একমাস পর দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে হত্যায় ব্যবহারিত রশি ও মোবাইল ফোন উদ্বার করা হয়েছে।
খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক) সার্কেল মো. সাইফুল ইসলামের নির্দেশনায় এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মুক্তরায় চেীধুরী সিপিএম ও থানার এস আই নাজমুল হুদা এবং এস আই আশরাফুল ইসলামলের নেতৃতে সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ এর
ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুুলিশ জানায়, গত ৮ জুন ২০২৫ এর দুপুরে রূপসা উপজেলার ২নং শ্রীফলতলা গ্রামের ইদ্রিস আলীর কলা বাগানের মধ্যে ভ্যানচালক রবিউলের অজ্ঞাত অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্বারের পর রবিউলের লাশ বলে সনাক্ত করে তার পরিবার।
অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একমাস পর হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ২ যুবককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বিল্লাল ও রিয়াজ তারা দুই বন্ধু। তাদের বাড়ি আইচগাতি ইউনিয়নের দেয়াড়া এলাকায়। সোমবার ভোরবেলা ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের নিকট স্বীকার করে যে, ভ্যান চালক রবিউলকে ভ্যান নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে হত্যা করে। এছাড়া তারা আরো জানায়, বিল্লাল ভ্যান চালক ও রিয়াজ বড় বাজারে লেবারের কাজ করত।
দুইজনের কাজ না থাকায় তারা ঈদকে সামনে রেখে ভ্যান ছিনতাইয়ের সিন্ধান্ত নেই। গত ৪ জুন সন্ধ্যায় খুলনার শহর থেকে হ্যান্ডগেøাপ ও রশি ক্রয় করে রাত আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটের সময় গ্রেফতারকৃতরা বেলফুলিয়া স্কুল মোড় থেকে রবিউলকে ৫শত টাকা দেওয়ার কথা বলে নন্দনপুর বৌ বাজার এলাকায় নিয়ে যায়।
বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে উক্ত ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা ভ্যানচালকের পিছন দিক থেকে গলায় রশি দিয়ে ফাস দিয়ে হত্যা করে। হত্যা নিশ্চিত করার জন্য ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ফেলে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। লাশ উদ্বারের পর মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাই এস আই নাজমুল হুদা।
দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের গ্রেফতার করে। গত ৪ জুন সকালে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় ৫ জুন রবিউল নিখোঁজ হওয়ার পর তার ভগ্নিপতি আল আমিন বাদী হয়ে রূপসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং সে সহজ সরল প্রকৃতির একজন মানুষ ছিলেন।
সে অবিবাহিত থাকায় মা ও বড় ভাই এর সাথে উপজেলার ১নং আইচগাতি ইউনিয়নের দেয়াড়া এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করত বলে নিহতের পরিবার জানায়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, ভ্যান চালক রবিউলের লাশ উদ্বারের পর বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভ্যান চালককে হত্যা করে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় বলে তারা স্বীকার করেছে।