Crime News tv 24
ঢাকাশনিবার , ২১ জুন ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুয়াডাঙ্গার আকাশজয়ী যুবক: চার মাসে পা রেখেছেন আট বিভাগে স্থান: চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ।

শিপন বুলবুল খাসকররা প্রতিনিধি:-
জুন ২১, ২০২৫ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার খাস কররা ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম রামদিয়া। এখানকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী সন্তান, পিতা শরিফুল ইসলাম ও মাতা মোসাম্মদ বেগম খাতুনের ছেলে এবং চার ভাইয়ের মধ্যে মেজ জন সম্প্রতি এক ব্যতিক্রমী ভ্রমণের মাধ্যমে নিজেকে অন্যরকমভাবে তুলে ধরেছেন সমাজে।

তার নাম আজ অনেকের কাছেই পরিচিত, কারণ তিনি একাই ভ্রমণ করেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে—চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করে রংপুর, সিলেট, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ হয়ে আবার ফিরে এসেছেন নিজের প্রাণের জেলা চুয়াডাঙ্গায়।

ভ্রমণ শুরু হয় ১লা ডিসেম্বর। ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিয়ে যখন তিনি চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়ক পাড়ি দিয়ে রওনা হন, তখন হয়তো কেউই ভাবেনি যে তিনি একদিন দেশের সব বিভাগ স্পর্শ করে আবার ফিরে আসবেন গ্রামের নিজ ঘরে।

তার এই পুরো যাত্রা ছিল আত্ম-অন্বেষণ, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আবিষ্কার, ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরির এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

প্রতিটি বিভাগেই তিনি কাটিয়েছেন কিছুদিন করে। কখনো পাহাড়ে, কখনো সমুদ্রে, আবার কখনো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পল্লী পরিবেশে থেকেছেন। নিজের সামান্য সঞ্চয়েই এই ভ্রমণ করেছেন, কোন বড় স্পন্সর বা সহায়তা ছাড়াই। হ্যাঁ কিছু ছোট স্পন্সর আমাকে কিছু পোশাক-আশাক দিয়েছে এবং কয়েক জেলা থেকে আমি কিছু সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছি

তিনি জানান,

“আমি ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রঙ, রূপ আর মানুষের ভালোবাসা একেবারে কাছ থেকে অনুভব করেছি। সব বিভাগ আলাদা, কিন্তু মমতায় এক।”

এই যাত্রা শেষে ২৫শে মার্চ তিনি ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। তার এই অভিজ্ঞতা এখন অন্য তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠছে।

স্থানীয়রা তার এই সাহসিকতা ও মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। এক প্রতিবেশী বলেন,

“আমরা গর্বিত এমন একজন তরুণ আমাদের গ্রামে আছে। সে দেখিয়ে দিয়েছে স্বপ্ন দেখতে হলে শহরে জন্মাতে হয় না।”

পরিকল্পনা আছে, তিনি শিগগিরই নিজের ভ্রমণ কাহিনি একটি ব্লগ বা ভিডিও সিরিজের মাধ্যমে তুলে ধরবেন, যাতে অন্যরাও উৎসাহিত হয় ঘুরে দেখতে এই প্রিয় বাংলাদেশকে।

শেষ কথা:
আকাশের মতো মন নিয়ে যে তরুণ চার মাসে পেরিয়ে এসেছেন আটটি বিভাগ, তার এই পদচিহ্ন আমাদের তরুণ সমাজের জন্য এক নতুন দিগন্তের দরজা খুলে দিয়েছে।