Crime News tv 24
ঢাকাশনিবার , ২১ জুন ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনা বিএনপি ৬টি আসনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

Link Copied!

কোন কোন নেতা নিজেকে জোরেশোরে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও নির্বাচনী মাঠ তৈরীতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে দলের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকছেন ডজন খানেকের মতো বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক নেতারা। এদের মধ্যে যেমন আছেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতা,তেমনি আছেন খুলনা জেলা ও মহানগরের একাধিক সাবেক শীর্ষ নেতা। দলটির নেতাকমীরা বলেছেন,দেড় দশকের বেশি ধরে এসব নেতারা দলীয় ফোরামের সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন।

রাজপথের আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন,আবার সাধারণ মানুষ থেকে কর্মীর পাশে থেকেছেন। এখন কেউ দলের সামনে সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে দলীয়কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মহানগরীসহ খুলনায় ৬টি সংসদীয় আসন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে বিএনপির এক ডজনের বেশি নেতা জনসংযোগ,শোডাউন, পথসভা ও প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।

যার মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন হেভিওয়েট সাবেক ছাত্রদলের নেতারা। যারা এখনও বিএনপিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী আলোচনায় খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী থানা) আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪(রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।

এই দুই কেন্দ্রীয় নির্বাচনী আমেজে এলাকায় কাজ করছেন। অপরদিকে খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে প্রার্থী হতে নেতাকর্মীদের মধ্যে কাজ করছেন খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বর্তমান মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। এছাড়া ৪ আসনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক আলোচনায় আছেন।
অপরদিকে খুলনা-১

(দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল। হিন্দু অধ্যুষিত এ নির্বাচনী এলাকাটিতে এর আগেও ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন আমীর এজাজ খান। খুলনা-৬

(কয়রা-পাইকগাছা) আসনে প্রার্থী হওয়ার আলোচনায়ও রয়েছেন একাধিক সাবেক ছাত্রনেতা। এদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বর্তমান জেলা আহ্বায়ক মো: মনিরুজ্জামান মন্টু,ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম কাজ করছেন।
খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনে বিএনপি প্রার্থী হতে গণসংযোগ,পথাসভা,শোডাউন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় পোগ্রামে দিনরাত ছুটে কাজ চালাচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা,জেলা যুবদলের আহ্বায়ক,কর্মী বান্ধব যুবনেতা মোঃ এবাদুল হক রুবায়েত।

আলোচনায় আছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও আমেরিকা প্রবাসী টিকু রহমান। এ আসনে নতুনভাবে আলোচনায় এসেছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগর লবি। অবশ্য শুধু ছাত্রদলের সাবেক নেতারাই নন, খুলনা ৬টি সংসদীয় আসনে দলটির আরো প্রায় ডজন খানেক নেতা মনোনয়ন পেতে তৎপর রয়েছেন। তাদের মধ্যে একাধিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন এমন একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এখানে প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। তবে দিনশেষে দল যাকে মনোনয়ন দেবে,তার পক্ষেই নেতাকর্মীরা কাজ করবেন। এক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে তরুণ নেতারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন। মহানগর বিএনপি নেতারা বলেছেন,দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি লড়াইয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিল।

হামলা, নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছেন নেতাকর্মীরা। কারাবাস করেছেন একধিকবার। মহানগরের সংসদীয় আসনগুলো যে প্রার্থীরা কাজ করছেন তারা এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। অনেকে কারাবরণ করেছেন,সাধারণ মানুষের পাশে থোকেছেন। ফলে নেতাকর্মীরা তাদের পাশেই থাকবেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক ছাত্রনেতাদের এগিয়ে থাকা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। তারপরও দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার সাথে কাজ করবে।