মহিদুল ইসলাম (শাহিন) খুলনা জেলা প্রতিনিধি:-
খুলনা রুপসা স্ট্যান্ড রোড কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ ৪৮৫ কে এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৫ আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদন্ডিতা করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৫১ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীদের সঙ্গে রিতি মতো যোগাযোগ করে চলেছে। প্রার্থীরা জনসংযোগ ও শোডাউন অব্যাহৃত রেখেছেন।এমনকি বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দিয়ে চলেছে। অন্য দিকে প্যানেল সহকারে প্রার্থীরা ভোটারের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কুশল বিনিময় এবং বিভিন্ন পন্থা
অবলম্বন করে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। ৯ টি পদে মোট প্রতিদন্ডিতা করছে ১৮ জন প্রার্থী। তার মধ্যে সভাপতি পদে ৩ জন, প্রার্থীরা হলেন মোঃ শাহ আলম (হারিকেন),মোঃ মহিউদ্দিন মঈন (ছাতা), আলহাজ্ব সেলিম কাজী (চেয়ার)এবং সম্পাদক পদে ২ জন লড়াই করছে। তারা হলেন মোঃ ইয়াকুব মোল্লা (মাছ) ও ফারুক হোসেন খান (গোলাপ) প্রতিক নিয়ে দুটি প্যানেলে প্রতিদন্ডিতা করছেন ১৭ জন প্রার্থী।
তবে.প্যানেল ছাড়া নির্বাচন করছে ১ জন প্রার্থী। নির্বাচনে অন্যান্য পদের প্রার্থীরা হলেন-সহ সভাপতি পদে মোঃ আলী আরিফ ও মোঃ আব্দুল করিম, কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ এনায়েত করিম ও মোঃ রুহুল কুদ্দুস, প্রচার সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম মিজু ও মোঃ করিম শেখ,সহ-সম্পাদক পদে আকবর হোসেন ও শুকুর আলী, সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন যথাক্রমে জয়নাল আবেদীন,আব্দুল কুদ্দুস, হাফিজুর রহমান, মাকসুদ শেখ ও বশির আহমেদ প্রতিদন্ডিতা করছেন। খুলনা সিটির ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিসে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান দায়িত্ব পালন করবেন ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শওকাতুল আলম ছগীর এবং সদস্য হলেন মেহেদী হাচান লিটন ও আঃ রহিম সেলিম। নির্বাচনের বিষয় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হোসেন বলেন,নির্বাচন হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে এটা যে উৎস মুখর নির্বাচন হচ্ছে,সেটা শতভাগ সঠিক। কিন্তু কার পাল্লা ভারী সেটা এই মুহূর্তে বলা মুসলিম।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান শওকাতুল আলম ছগীর বলেন,নির্বাচন হবে আগামী ১৯ তারিখে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি কয়েক দিন পরেই নেবো। তবে একটি অবাধ,গ্রহন যোগ্য এবং স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেবো বলে আশা করছি। অন্য দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভোটার বলেন,এ বারের নির্বাচন বাঘ-সিংহের লড়াই হবে সাধারণ সম্পাদক পদে।ইয়াকুব এবং ফারুক দুজনেই আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। কেউ কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দিতে নারাজ। তবে নিজের সন্মান রক্ষার্থে যে কোন কৌশল অবলম্বন করবে তারা। অন্য দিকে সভাপতি পদেও দৌড় ঝাপে কেউ পিছিয়ে নেই। এখানে যুদ্ধ হবে ত্রিমুখী।
তবে অনেক ভোটার জানান,সন্মান রক্ষার ক্ষেত্রে কাড়ি কাড়ি টাকাও খরচ করতে পারে অনেক প্রার্থী।