চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের কাবিলনগর গ্রামে সরকারি খাল পুনঃখনন প্রকল্প নিয়ে দুই ইউপি মেম্বারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাসকররা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফরিদ হোসেন ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. শিমুল হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি এলজিইডি’র অধীনে বাস্তবায়নাধীন খাল কাটার প্রকল্প নিয়ে এই বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে কাবিলনগর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে প্রথমে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ রয়েছে, ফরিদ হোসেনের মা ভালোরা খাতুন খবর পান, তার ছেলেকে কেউ মারধর করছে। তিনি দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে উপস্থিত বর্তমান মেম্বার শিমুল হোসেন ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
এর কিছুক্ষণ পর ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুনরায় উত্তেজনা দেখা দেয়। তিনি তার মায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ করলে শিমুল মেম্বার ও তার সমর্থকেরা তার উপর চড়াও হয়। ফরিদ মেম্বার মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান এবং তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে তিওর বিলা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই সুকান্ত কুমার গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি খাল পুনঃখনন প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (LGED) অধীনে বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু প্রকল্পটি নিয়ে দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা থেকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।