নাসিরনগর থানায় ফ্যাসিবাদী ও খুনী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জি.আর. ১৫৯/২৪ মামলায় নতুন করে এক চাঞ্চল্যকর মোড় দেখা দিয়েছে। মামলার বাদী ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ শাহ আলম পাঠানের বিরুদ্ধে এফআইআরের কয়েকজন আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, শাহ আলম পাঠান মামলার আসামি নম্বর ৮৭, ৯৭, ৭৯, ৯১ ও ১০৫–এর বিরুদ্ধে কোনো ধরণের হয়রানি না করার শর্তে আর্থিক লেনদেন করেন এবং সেই প্রেক্ষিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে একটি হলফনামা জমা দেন। সংশ্লিষ্ট হলফনামায় তিনি এদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির অনুরোধ জানান।
অভিযোগ অনুযায়ী, মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, এর ফলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
নিরীহ ও সম্মানিত মানুষ গুলোকে ফাঁসিয়ে বিভিন্ন ছলচাতুরী মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত এসব মামলার ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তদন্তের প্রয়োজন।