Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ মে ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি- রাশেদার সাথে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জড়িত!

Link Copied!

মৌলভীবাজার জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান যোগসাজোস

দুর্নীতির তথ্য গোপন ও ফাইল সরানোর অভিযোগ
সম্প্রতি, রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমসহ আরও তিনজন মিলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, তারা ওয়াই-ফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন যাতে তথ্য ফাঁস না হয়। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে মিলে বিভিন্ন ফি অতিরিক্তভাবে আদায় করতেন এবং অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন এমনটাই বিশ্বস্ত সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে।

প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করলে, হাবিবুর রহমান ভাড়াটে লোক জড়ো করে মানববন্ধনে বাধা দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাদের হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসে।

হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রশিদ বা ভাউচার ছাড়া হাতে হাতে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ভর্তি ও বেতন ফি অনলাইনে গ্রহণ না করে নগদ লেনদেন করতেন এবং অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের মূল তহবিলে ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৬ টাকা থাকার কথা থাকলেও এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অডিট বন্ধ ও মামলা দায়েরের পরিকল্পনা
২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে কোনো অভ্যন্তরীণ অডিট হয়নি। শিক্ষক প্রতিনিধি কর্তৃক অডিটের দাবি উঠলে হাবিবুর রহমান ও রাশেদা বেগম ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তা বন্ধ রাখেন। অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসকসহ সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরামর্শও দেন হাবিবুর রহমান। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে (মামলা নং: ৫২/২০২৫) একটি মামলা দায়ের করা হয়।

নিয়োগ, অনুপস্থিতি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডে অনিয়ম
রাশেদা বেগম তার ঘনিষ্ঠদের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা নিয়মিত ক্লাস না করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

এছাড়া সম্প্রতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন কালে অনুসন্ধানে পাওয়া যায় অদ্য ৩০ এপ্রিল বিদ্যালয়ের ৭ম, ৮ম, ৯ম শ্রেণি বন্ধ থাকবে বলে কিছু শিক্ষার্থীদের মেসেজ পাঠানো হয় ।

কিন্তু সকল শিক্ষার্থীদের এই মেসেজ পাঠানো হয়নি এব্যাপারটি ধোয়াশার সৃষ্টি করে। তাহলে বিদ্যালয় পরিচালনায় অভিযুক্তরা পরিকল্পিত ভাবে তা করাচ্ছেন বলে সচেতনমহল মনে করছে।

উপরোক্ত বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আসলে পূর্বের দূর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ এসব বিষয়ে জানি না কারণ আমাকে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগম ২০২৩ ইং সালে নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আর যে সমস্ত অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে তা আসলে সঠিক নয়। আমি শিক্ষার্থীদের সাথে এবং ন্যায়ের পক্ষে আছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক ।