ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামে এলাকায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বসতবাড়িতে ঢুকে মারধর ও বাগানে অনুপ্রবেশ করে ১৪ টি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত রবিবার (২৭ এপ্রিল ) দুপুরের দিকে বুড়িশ্বর গ্রামের (মধ্য পাড়া) বাড়ির পাশের কাঠবাগানে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী মো. মাহবুব আলী অভিযোগ করে বলেন, এই বাগানটি পৈত্রিক সূত্রে ও খরিদ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে অদ্যাবধি আমি ভোগ দখল করে আসছি। আমার বাগানে বিভিন্ন ধরনের কাঠের গাছ রয়েছে। বিবাদীগন প্রায় সময়ই আমার বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যায়, আমি কিছু বলতে গেলে মারপিট করতে উদ্ধত হয়। এই ঘটনার আগে ও বেশ কয়েকবার ওরা আমার ও আমার পরিবারের গায়ে হাত তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন আমার বাগানের গাছ কাটতেছে শুনে দ্রুত বাগানে যাই এবং তাদের গাছ কাটতে নিষেধ করি, এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথে থাকা লাঠি-সোটা, দা ও রড নিয়ে আমাকে দৌড়ানি দিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে এলোপাতারী কিল, ঘুষি, লাথি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ও রড দিয়ে আমার মুখে আঘাত করলে আমার তিনটি দাঁত নড়েবড়ে হয়ে যায়, আমার আর্ত চিৎকারে আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও এলোপাতারী মেরে আহত করে ফেলে।
তিনি আরো বলেন, তারা আমার বাগান থেকে ১৪ টি কাঠ গাছ কেটে নিয়ে যায় ও কিছু গাছ কেটে ফেলে চলে যায়, যার আনুমানিক মূল্য ৩-৪ লাখ টাকা হবে। খবর পেয়ে আমাকে বাঁচাতে আমার পরিবারের লোকজন উপস্থিত হলে তারা আমাদের দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমার স্বজনরা উদ্ধার করে নাসিরনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। এ বিষয়ে আমি নাসিরনগর থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, এসংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।