বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো.মঞ্জুর হোসেন ঈসা,মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন এক যৌথ বিবৃতিতে
৮ মার্চ ২০২৫ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশের সকল নারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, নারীর কৃতিত্বকে স্মরণ ও সম্মান জানাতে ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী উদযাপন করার জন্য আহবান জানান।
১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ এই দিনটির শুরু। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুঁচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে গ্রেপ্তার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’।
১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়েছিল। আমেরিকার তৎকালীন সক্রিয় সোশ্যালিস্ট পার্টি ১৫,০০০ নারীর স্মরণে দিনটি উদযাপন করেছিল। যারা কঠোর কাজের বিনিময়ে কম মজুরির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ করেছিল। এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।
তিনি তার এই চিন্তাটা জানান ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।
তবে ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের এক মিলিয়নেরও বেশি লোক আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছিল। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।