Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“ পিঠা বিক্রি করেই পেট চলে”

কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ-
অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ৬:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাধারণত শীত এলেই সামনে আসে পিঠাপুলির কথা। সকাল সকাল ঘাছ থেকে খেজুর রস নামিয়ে পিঠা বানানোর তোড়জোড়। ভাপ ওঠা চুলার চারদিকে শিশু কিশোরদের অপেক্ষা- কখন নামবে পিঠার হাঁড়ি, কে কতটা পিঠা খাবে তার প্রতিযোগিতা।গ্রাম বাংলার চির চরিত ওিই রীতি এখন আর হয়তো খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে শীতের এই অনুষঙ্গ থেকে নেই মোটেও। শীতের শুরুতেই শহর বা গ্রামের অলিগলিতে জমে ওঠে মৌসুমি পিঠার দোকান। সেখানে মেলে হরেক পদের পিঠা।এই পিঠা কারও বাড়তি আয়ের উৎস, কারওবা জীবিকার প্যধান মাধ্যম। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহেবগজ্ঞ বাজার রোডে এমনই একটি পিঠার দোকান টুকু মিয়ার। মাটির চুলা। চুলার কয়েকটি জ্বালামূখ।তাতে তৈরি হচ্ছে চিতাই,ভাপাসহ নানান পিঠা। এর পাশেই ছোট ছোট বাটিতে থরে থরে সাজানো শষে মরিচ,চেপা শুঁটকিসহ নান স্বাদের ভতা সেখানে ক্রেতাদের ভিড়। কেউ খাচ্ছেন, কেউবা কাগজের ঠোঙ্গায় মুড়িয়ে পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। গত শনিবার রাত আটটার দিকে কথা হয় টুকু মিঞার সঙ্গে।তিনি তখন পিঠা বিক্রিতে ব্যস ্ত । কথায় কথায় জানা গেল, টুকু মিঞার মা অসুস্থ এছাড়া ২ সন্তান ঢাকায় থাকেন তাই তিনি পরিবারের একমাত্র উপাজনক্ষম। শীতের এই সময়ে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। বাকি সময় ভ্যান চালান তাতে কোন রকম দিন চলে তার। টুকু মিঞা বলেন,“ ঘরে না খেয়ে থাকলেও দেখার কেউ নাই। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় দোকান নিয়ে বসেছি।এ ছাড়া শীতের এই সময়ে পিঠার প্রচুর চাহিদা। তাই পিঠা বিক্রি করেই পেট চলে। এছাড়া আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ স্টেশন,আত্রাই হেলিপ্যাড রোড, আহসানগঞ্জ হাট খোলা,শুকটিগাছা বাজার ,ব্রজপুর বাজার, সিংসাড়া বাজার, মদনডাঙ্গা, কুশাতলাবাজার, ভাঙ্গাজাঙ্গাল বাজার, সাহাগোলা রেল স্টেশন বাজার বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখা গেছে ভ্যানেও মৌসুমী পিঠা বিক্রি করছে চিতই পিঠা। সাধারণত দোকানগুলো চালু হয় বিকাল চারটায় আর চলে রাত্রি ৯টা পযন্ত। এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় জমে সন্ধ্যার পর থেকেই। অনেকে পরিবার নিয়ে পিঠা খেতে আসেন আবার কেউ কেঊ পিঠা নিয়ে বাড়ি চলে যান। শনিবার বিকালে আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারে একটি পিঠার দোকানের সামনে কথা হয় স্থানীয় বাদিস্দা সাদিক মিঞার সঙ্গে। তিনি একসাথে ৭টি পিঠা কিনছিলেন। তিনি বলেন, মূলত শহরের বাড়িতে পিঠা বানানো ঝামেলা। এ ছাড়া সরঞ্জামও নাই। আর বানালেও দোকানের মতো হয় না।তাই ঝামেলা কমাতে দোকান থেকেই কিনে নিচ্ছ।

প্রতিবেদনঃ- কামাল উদ্দিন টগর
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
ক্যামেরায়ঃ- শাহরিয়া আহম্মেদ সাদিক।