খুলনা মহানগরীর ২৫ নং ও ২৬ নং ওয়ার্ডে গত (১৭ সেপ্টেম্বর) বুধবার থেকে আজ রবিবার পর্যন্ত সোনাডাঙ্গা থানাধীন বানরগাতি বাজার ও বসুপাড়া এই দুই ওয়ার্ডে সরকারিভাবে সুলভ মূল্যে চাল-আটা বিতরণ করা হচ্ছে। এই দুটি ওয়ার্ডে ওএমএস এর ডিলাররা হলেন মেসার্স আসাদ ষ্টোর প্রোঃ মোঃ আসাদুজ্জামান শেখ এবং মেসার্স মঞ্জুয়ারা
এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ মঞ্জুয়ারা লাভলী,এই দুইটি ওয়ার্ডের ডিলালরা বলেন,গরীব দূঃখি শত শত পুরুষ ও মহিলা সুষ্ট এবং সঠিক ভাবে চাল-আটা ক্রয় করতে পাচ্ছেন। এর আগে ৪,৫ ওয়ার্ডের ডিলাররা সংবাদকর্মিদের বলেন,গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা তদারকি কর্মকর্তা মমতাজ পারভীনের সঠিক দিক-নির্দেশনায় চাল-আটা সুষ্ঠ ও সঠিক ভাবে অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করেছি ।
ওএমএস এর ডিলার পয়েন্টে কিনতে আসা পুরুষ মহিলারা সংবাদ কর্মিদেরকে বলেন, দীর্ঘদিন পর সঠিক ভাবে কম দামে চাল-আটা কিনতে পারতিছি। তারা আরও বলেন,বাজারে চাল আটার মুল্য বেশি থাকাই আমরা ডিলার পয়েন্ট থেকে চাল-আটা কিনে ভালো ভাবে খেয়ে বেঁচে আছি। ২৫ নং ও ২৬ নং ওয়ার্ডের তদারকি কর্মকর্তা,জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক মমতাজ পারভীন বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত ১ টন চাল ও ১ টন আটা। এই চাল আটা সুলভ মুল্যে হচ্ছে চাল ৩০ টাকা
এবং আটা ২৪ টাকা। সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারবে ১ জন ব্যক্তি (২০০জন পুরুষ মহিলা ক্রয় করতে পারবে )। তিনি আরও বলেন, খোলা বাজারে এই চাল আটা বিতরণের লোক সংখ্যা যখন বেড়ে যায় অর্থাৎ ৩০০/৩৫০ জন হয়। তখন ডিলারগণ অবস্থানরত সকলের পরামর্শে ৩ কেজি চাল ৪ কেজি আটা বিতরণ করে থাকে। মমতাজ পারভীন আরও বলেন, যখন সুষ্ঠ-সঠিক ভাবে খোলা বাজারে চাল-আটা বিতরণ চলমান। ঠিক সেই মুহুর্তে কিছু কুচক্রি মহল আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন যে,আমি দুটি পয়েন্টে তদারকি কর্মকর্তা দায়িত্ব থাকাকালীন সকল ওএমএস ডিলার পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়ে থাকি,যাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
মমতাজ পারভীন বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারের নির্দেশনায় ৩১টি ওয়ার্ডের ওএমএস পয়েন্টে দুইজন খাদ্য পরিদর্শক মনিটারিং করে থাকেন। এরা হলেন আবু বক্কর ছিদ্দিক এবং তরুন বালা। এছাড়াও মমতাজ বলেন,আমার বা আমার পরিবারের সদস্যরা কেউ আওয়ামীলীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রিদের সাথে কোন সময় সম্পৃক্ততা ছিলোনা।