রবিবার, ৭ই সেপ্টেম্বর রাতের দিকে রাজধানী ঢাকা উত্তরা এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের মূল হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। তাদের গ্রেফতারের সাথে সম্পর্কিত একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় হাজিরাবাগ পুলিশ স্টেশনের সহযোগিতায়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ছাড়াও রয়েছেন আব্দুল রহিম (৫৫), নুর ইসলাম (৩১), আসাদুজ্জামান (৩৫) এবং শাহরিয়ার শেখ মুরাদ (৪২)। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভিসা ও পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবসা পরিচালনা করছিল। পাশাপাশি তারা মানব পাচারের সাথে জড়িত ছিল, এবং বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠানোর নামেও অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছিল।
এনএসআইয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমিনুল ও তার সহযোগীরা বহু বছর ধরে ভিসা জালিয়াতি এবং মানব পাচারকার্যে জড়িত ছিল, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়া পাসপোর্ট, ভিসা, এবং অন্যান্য জাল নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে মানুষ পাঠিয়ে দেয়, যারা পরে সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, তবে অধিকাংশ সময় তাদের প্রতি শোষণ এবং নির্যাতন করা হয়। এছাড়া, চক্রটি দুনিয়াজুড়ে একাধিক আন্তর্জাতিক মানব পাচার সিন্ডিকেটের সাথে সংযুক্ত ছিল।
এনএসআই এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে এই গ্রেফতারগুলি এক বড় সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তদন্ত চলছে, এবং আশা করা হচ্ছে চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও, পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে, যারা বিদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা বা পাসপোর্ট পেতে চান, তারা যেন অবৈধ মাধ্যমের সাথে সম্পর্ক না রাখেন, এবং সকল তথ্য সরকারের কাছ থেকে নিশ্চিত করেন।
এই গ্রেফতার অভিযান নিরাপত্তা সংস্থার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যাতে ভবিষ্যতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনগণের নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকে।
এনএসআইয়ের মূল উদ্দেশ্য:
এনএসআইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ:
এখনো তদন্ত চলছে, এবং পুলিশের দাবি যে, এর মাধ্যমে আরও বড় কিছু তথ্য উদঘাটিত হবে যা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।