নীলফামারী জেলার ডিমলা থানা বিএনপির অঙ্গসংগঠন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এর হঠাৎ ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা। রাতারাতি তৈরি করা এই কমিটিতে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই জানতেনই না—তাদের নাম কেন বা কীভাবে রাখা হলো।
স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যারা বিএনপির দুর্দিনে মাঠে ছিল না, তাদের নাম নতুন কমিটিতে স্থান পেলেও, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে ছিলেন, রাতভর পোস্টারিং করেছেন, মামলা-হামলা সহ্য করেছেন—তাদের কোনো মূল্যায়নই নেই এই কমিটিতে। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন বহু নিবেদিতপ্রাণ কর্মী।
একজন সিনিয়র কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“দল যখন সংকটে ছিল, আমরা তখন রাজপথে ছিলাম। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, ঘরে বসে থাকা সুবিধাবাদীরা পদ পাচ্ছে! এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
এদিকে, বিএনপির ডিমলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলেন,
“এভাবে যদি রাতারাতি কমিটি ঘোষণা করা হয়, ত্যাগীদের মূল্যায়ন না হয়—তাহলে দলের প্রতি বিশ্বাস হারাবে অনেকে। তখন দলের আসল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে।”
নেতাকর্মীরা দলীয় হাইকমান্ডের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, নতুন করে যাচাই-বাছাই করে একটি গ্রহণযোগ্য, ত্যাগী ও অভিজ্ঞদের নিয়ে পুনর্গঠিত কমিটি দেওয়া হোক।
ডিমলার রাজনৈতিক মাঠে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সংগঠনের ভেতরে ভাঙন দেখা দিলে, তার দায় কে নেবে—সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকেই