নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাশক (ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান), সচিব সহ ২জন উদ্দোক্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতি সহ নানান বিষয় উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার ময়মনসিংহ ,জেলা প্রশাসক নেত্রকোনা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কেন্দুয়া বরাবরে একটি অভিযোগ করেছিলেন উক্ত ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডের পুবাইল গ্রামের সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম,তিনি পেশায় একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী এবং তিনি একজন গণমাধ্যম কর্মী। সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম এর অভিযোগের ভিত্তিতে বিগত ইং ২৯/০৫/২০২৫ তারিখে কেন্দুয়া উপজেলার এসিল্যান্ড সহ ৩জন তদন্ত কমিটি গঠন করে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে শুনানি অনুষ্ঠিত হলে এই শুনানিকালে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিতিত হলে সরেজমিনে দেখা যায় অভিযোগকারী উপস্থিত হয়ে তার অভিযোগ প্রমাণের স্বপক্ষে প্রমাণাদি দাখিল ও কোন বক্তব্য দেওয়ার আগেই অভিযোক্তদের পক্ষে এক এক করে বক্তব্য দেওয়াচ্ছেন অভিযুক্ত প্রশাসক নিজেই। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উপস্থিত নেতাকর্মীরা অভিযোগকারীর বিচার দাবি করেন।পরবর্তীতে অভিযোগকারী উপস্থিত হলে অভিযোগকারীকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে জোর পূর্বক অভিযোগ প্রত্যাহার করায়, এমন শুনানির ভিডিও চিত্র ধরা পরে গণমাধ্যম কর্মীদের ধারণকৃত ভিডিওতে এবং জনসম্মুখে।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আনোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ,চাঁদাবাজি, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, সরকারি চাল চুরি সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মন্জুরা আক্তার এবং একই ইউনিয়নের গড়াডোবা গ্রামের মিলন মিয়া।এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গোপনে ও প্রকাশ্যে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, সচিব,উদ্দোক্তাগণ সহ বিভিন্ন তেলবাজি করে সুবিধা নেওয়া কিছু বিএনপি ও আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীগণ সরাসরি জড়িত রয়েছে এমন সত্যতার তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হওয়ায় বুঝতে পেরে গত ইং ০২/০৭/২৫ তারিখে কেন্দুয়া উপজেলা ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার অত্র ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে প্রশাসক, সচিব,উদ্দোক্তাগণ সহ সকল মেম্বার/সদস্যদের উপস্থিতিতে বলেন, মহিউদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, জেলা শাখা, নেত্রকোনা সহ কোন গণমাধ্যম কর্মী যদি আর কখনো অত্র ইউনিয়ন পরিষদে দেখতে পায় তাহলে সাথে সাথে যেন ধরে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঝুলিয়ে রেখে ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদারকে খবর দিতে এবং ইউএনও এসে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আল্টিমেটাম দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মুটো ফোনে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের জানান এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা ইউএনও ইমদাদুল হক ইউনিয়ন পরিষদের এসে সাংবাদিকদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে উনাকে খবর দিলে উনি ব্যবস্থা নিবেদন বলে যে আল্টিমেটাম দিয়ে গেছেন তা আমরা পালন করতে পারবো না এবং উনার বিরোধিতাও করতে পারবো না। উল্লেখ্য, ০১। একই ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডের চন্দলাড়া গ্রামের ভারসাম্যহীন আবু হানিফ এর ১২ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করে পাশের গ্রাম বাড়ইগ্রামের মৃত আঃ ছোবহান এর ছেলে আবুল কাশেম। এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা ইউএনও কে অবগত করলে তিনি বলেছিলেন একটা নিউজ করে দিতে আর এই নিউজের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বললেও এখনো পর্যন্ত নেননি কোন পদক্ষেপ।
০২। অত্র ইউনিয়নের প্রশাসক সহ উদ্দোক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে দিয়ে জোর পূর্বক অভিযোগ প্রত্যাহার করানোর বিষয়ে অবগত করলেও নেননি কোন পদক্ষেপ।০৩। বর্তমানে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ও একজন ভি.জি.ডি কার্ডদারীর স্বামীর অভিযোগের সকল প্রমাণ দেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত নেননি কোন পদক্ষেপ। ০৪। এডিএম কোর্টের ফোঃকাঃবি ৯৮ ধারায় মামলা দায়েরের পর উক্ত চেক উদ্ধার পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ করার পরও নেননি কোন পদক্ষেপ।
কেন্দুয়া উপজেলা ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার এর কাছে এসব সকল অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপন পূর্বক গণমাধ্যম কর্মীদের মারধরের আল্টিমেটাম এর বিষয়ে জিগ্যেস করলে মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের সকল দূর্নীতির বিষয়ে আমি জানি এবং এ নিয়ে খুবই চিন্তিত। এবং এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কে মুটো ফোনে কল দিলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের ফোন রিসিভ করে নাই।