আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী নেতাদের যোগসাজসে নানা অনিয়ম আর অপকর্মের সাথে জড়িত হয়েও অন্তবর্তী সরকারের আমলে একই ধারাবাহিকতায়
বহাল তবিয়তে আছেন নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৪ নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আনোয়ার হোসেন, তাহার বিরুদ্ধে, প্রতারণামুলক, জোরামলে ব্যাংক চেক আটক ও সরকারি টাকা আত্মসাৎ
এর অভিযোগ উঠে দুর্নীতি পরায়ন সচিব আনোয়ারের বিরুদ্ধে, এই নিয়ে ও ফোঃকাঃবিঃ ৯৮ ধারায় চেক উদ্ধারের মামলা করেন অত্র ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মন্জুরা আক্তার এবং চাল চুরির অভিযোগ করেন একই ইউনিয়নের গড়াডোবা গ্রামের মিলন মিয়া। ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মন্জুরা আক্তার তার অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন আমাকে অবগত না করিয়া বিদ্যাবল্লভ গ্রামের ব্রিজ সংস্কার ও ইউনিয়ন পরিষদের সংস্কারের প্রকল্পের সভাপতি বানায় অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আনোয়ার হোসেন এবং উক্ত প্রজেক্টের ১ম ধাপের টাকা উাঠানো কথা বলিয়া আমাকে তার সাথে নিয়া কেন্দুয়া সোনালী ব্যাংকে আমার নামীয় একটি একাউন্ট খুলিয়ে উক্ত একাউন্টের চেক বইয়ের প্রথম ৩টি পাতায় আমার সাক্ষর নিয়ে চেক বইটি জোর পূর্বক সচিবের নিকট রেখে দেন এমতাবস্থায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ঐ সচিব আনোয়ার হোসেন এর কাছ থেকে চেক বইটি উদ্ধার করতে পারলেও ঐ চেক বই এর আমার সাক্ষরিত ১ম ২টি পাতা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হই । এমতাবস্থায় ২টি চেকের পাতা উদ্ধারের জন্য আরও চাপ প্রয়োগ করলে তিনি জানান একটি চেকের পাতা দিয়ে উক্ত প্রকল্পের ১ম ধাপের ৯০,০০০টাকা উঠিয়েছে এবং আরেকটি চেক দিয়ে ২য় ধাপের বাকি টাকাটা উঠাবেন মর্মে জানালে আমি কেন্দুয়া সোনালী ব্যাংকে গিয়ে আমার নিজ নামীয় একাউন্ট স্টেটমেন্ট তুলে জানতে পারি আমার একাউন্টে প্রজেক্টের কোন টাকা ঢুকে নাই এবং চেকগুলো ব্যবহার করে কোন টাকা নেলদেন না করিয়া কেন্দুয়া পিআইও অফিসের ১। আলিম ও ২। আল আমিন অফিস সহায়কদের সহযোগিতায় প্রকল্পের ৯০,০০০/ টাকা উঠিয়ে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই ইউনিয়নের গড়াডোবা গ্রামের মিলন মিয়ার তার অভিযোগে উল্লেখ করেন গত মে মাসে প্রত্যেক ভি.জি.ডি কার্ডধারীর নামে ৩০ (ত্রিশ) কেজি করে ০৪(চার) মাসের মোট ১২০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। আমি খবর পেয়ে চাল আনতে গেলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন আমাকে চাল দিতে নিষেধ করে এবং আমাকে চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি ০২নং ওয়ার্ডের বিদ্যাবল্লভ গ্রামের একজন মৃত কার্ডধারীকে প্রশাসক সাহেব চাল দিয়ে দিয়েছেন এবং বিতরনের ২/৩ দিন পরে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আনোয়ার হোসেন পাথারিয়া গ্রামের চাল ব্যবসায়ী আল-আমিন এর নিকট আমার স্ত্রীর বরাদ্দকৃত চাল ও আরো ০২ (দুই) জনের চাল সহ মোট ০৩ (তিন) জনের চাল ১১,০০০/ (এগারো হাজার) টাকায় বিক্রি করে সরকারী চাল ফেরৎ না দিয়ে সে নিজে আত্মসাৎ করেছেন।
এই অভিযোগ গুলোর ভিত্তিতে সরজমিনে, অনুসন্ধানকালে সাংবাদিকদের কাছে আসা প্রমান সরুপ বিভিন্ন অডিও ও বিভিন্ন ভিডিওতে সঠিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এদিকে সচিব আনোয়ার হোসেন এর নিকট থাকা মন্জুরা আক্তারের স্বাক্ষরিত ২টি চেক ফেরত পেতে এবং উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য মন্জুরা আক্তার অত্র ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কে অবগত করিলে তিনি সচিবের পক্ষ নিয়ে বলেন সচিব আনোয়ার এর নিকট ২টি চেকের পাতা জমা রেখে টাকা ধার নিয়েছেন এখন তার বিরোদ্ধে মিথ্যা বলতেছেন? বলিয়া এবং কোন সমাধানের চেষ্টা না করেই উল্টো উক্ত বিষয় সচিব আনোয়ারকে জানিয়ে দিলে সচিব আনোয়ার খুব্দ হয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের কতক সদস্য/মেম্বারদের উপস্থিতে প্রশাসকের সম্মুখে উক্ত ২টি চেক প্রদর্শন পূর্বক ১০ লাখ টাকা করে উল্লেখ করে উক্ত চেক গুলো দিয়ে মন্জুরার নামে মামলার হুমকি দেওয়ায় , মন্জুরা আক্তার এনএসআই নেত্রকোনা, জেলা প্রশাসক নেত্রকোনা ও নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে অভিযোগ দায়ের সহ বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করলে সচিব আনোয়ার হোসেন এক দরবারের গুপন বৈঠকে ফেসিষ্ঠ সরকারের আওয়ামিলীগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শালিসে সকল অভিযোগের বিষয় এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য একাদিক সদস্যদেরও এই ভাবে উত্তোলন করেছে মর্মে সিকার করে মন্জুরা আক্তারকে জানান কেন্দুয়া গিয়ে ২টি প্রকল্পের ২য় ধাপের বাকি টাকা উঠিয়ে আনতে হবে এবং যেদিন আনবে সেদিন ঐ চেক গুলো সচিব আনোয়ার মন্জুরার নিকট ফেরত দিবে এমন পরিস্থিতিতে মন্জুরা আক্তার সচিব আনোয়ার এর কথায় বাধ্য হয়ে সম্মতি দিলে পরদিন সচিব আনোয়ার হোসেন কেন্দুয়া বিভিন্ন অফিস ও অফিসের বিভিন্ন কাগজেপত্রে মন্জুরাকে দিয়ে সাক্ষর করিয়ে বাকি টাকা উঠানোর পর ১টি চেক মন্জুরার নিকট ফেরত দিয়ে পূনরায় আবারও পূর্বের কায়দায় আরেকটি চেক জোর পূর্বক সচিবের নিকট রেখে দিলে মন্জুরা বাকি ১টা চেকের জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে সচিব আনোয়ার হোসেনের নিকট থাকা চেকের বিনিময়ে মন্জরাকে দিয়ে উঠানো ২য় ধাপের সকল টাকা সচিব আনোয়ার হোসেনকে দিয়ে দিতে হবে মর্মে চাদা দাবী করে এবং মন্জুরা আক্তার উক্ত চাদা দিতে অস্বীকার করলে মন্জুরা আক্তারের নামে পোষ্টার বিলির মাধ্যমে অপপ্রচার সহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসতেছে বলে জানান মহিলা সদস্য মন্জুরা আক্তার। এদিকে গড়াডোবা গ্রামের মিলন মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ভিডিওতে ও পারিপার্শ্বিকতায় দেখা যায় অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আনোয়ার হোসেন একই ইউনিয়ন পরিষদের
উদ্দোক্তা আবু বক্কর( ফেসিষ্ঠ সরকারের কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা)’র মাধ্যমে অত্র ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের চাল ব্যবসায়ী আল-আমীনকে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে আনিয়া তার নিকট ১১০০০ টাকার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তিদের চাল সরকারের কোষাগারে ফেরত না দিয়ে বিক্রি করে এবং সেই টাকা আত্মসাৎ করে। এবিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সচিব আনোয়ার হোসেনকে জিগ্যাসা করিলে তিনি জানান এবিষয়ে কোর্টের মাধ্যমে মোকাবিলা হবে আপনাদের কিছু বলবো না। পরবর্তীতে প্রশাসকের সামনে অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসককে জিগ্যাসা করিলে তিনি সচিবকে এবিষয়ে সাক্ষাৎকারের উত্তর দিতে অনুরোধ করে কিন্তু সচিব আনোয়ার কোন কথা বলতে রাজি হন নাই উল্টো প্রশাসককে বলেন যে বিষয়টি আপনার কথামতো গোপনীয় ভাবে শেষ হয়েছে সে ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে আছে তাই আমি কিছু বলতে পারবো না।
চাল ছুরির অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এর নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান ৩জন মৃত ব্যক্তিদের চাল উবরিত ছিল যা সরকারি বিধি মোতাবেক আমি সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি এবং উক্ত বিষয়ে তার সম্মুখে পূনরায় আবার জিগ্যাসা করিলে তিনি জানান ৩জনের উপরিত চাল ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত আছে এবং চাল ছুরির ভিডিও উপস্থাপন পূর্বক জিগ্যেস করলে এবিষয়ে কোন বক্তব্য না দিয়ে এরিয়ে যান।সচিব আনোয়ার হোসেন এর নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মন্জুর আলীকে তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান উক্ত সচিবের আত্মসাৎকৃত ৪০০০০ টাকা এর দরবারে বসে আছি ।
পূর্বে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উদ্দোক্তাদের বিরুদ্ধে সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি সকল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘুষ ও দূর্নীতির অভিযোগ করলে তার অভিযোগ প্রমাণের স্বপক্ষে শুনানি করতে না দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করে এবং ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন লিটন, কালেঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা হুমায়ুন তালুকদার (চেযারম্যান পদপ্রার্থী) সহ অনেকেই তাদের বক্তব্যে ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের লোক জনের মাধ্যমে ১টাকারও কোন ঘুষ দুর্নীতি হয় না। প্রকল্পের টাকা উক্তোলন এর বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রকল্প পাশ করিয়ে দেই টাকা উত্তোলনের বিষয়ে বলেন এটা একাউন্ট ডিপার্টমেন্টের বিষয় প্রকল্পের সভাপতি ছাড়া অন্য কেউ, কিভাবে টাকা উত্তোলন করে, তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা আইডি কার্ড দেখে যাচাই বাঁচাই করে তাদের কাজ করবে।
এ বিষয়ে একাউন্টস অফিসার জানান, প্রকল্পের সভাপতি টাকা নিবে না কে নেবে এটা আমার কাজ না এটা দেখার একতিয়ার আমাকে সরকার দেননি এটা ইউনোও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাজ। আমি আটকে দিলে এটার দায় ভার কি আমি নিব? এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলার ইউনো বলেন, গড়াডোবা ইউনিয়নের দুর্নীতি নিয়ে, আমি নিজেও আতঙ্কিত আছি, অন্যান্য উপজেলায় যত দুর্নীতি না হয় গড়াডোবা ইউনিয়নেই তার চেয়ে বেশি হয়।