ঝিনাইদহে চম্পা খাতুন (২৪) নামের এক নারীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী রাফি রহমান, শশুড় হাফিজুর রহমান পলাশ ও শাশুড়ি শামীমা বেগমের নামে।
গত সোমবার রাতে ১৬/০৬/২০২৫ ইং তারিখে ভুক্তভোগী চম্পা খাতুনের ভাই আল-আমীন বাদী হয়ে উক্ত তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,পাগলাকানাই ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়ার মো: আমির হোসেনের মেয়ে চম্পা খাতুনের সাথে শহরের আদর্শপাড়ার শহরতলী সড়কের মো: হাফিজুর রহমান পলাশের ছেলে মোঃ রাফি রহমানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, পরবর্তীতে তারা দুইজন একটি বিবাহ সংক্রান্ত এ্যাফিডেফিটের মাধ্যমে গত ১৩/০১/২০২৫ ইং তারিখে (২০০’০০০/-) দুই লক্ষ টাকা সম্পূর্ণ বাকিতে দেনমোহর কাবিন করে বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। তারপর থেকে রাফি রহমান ও চম্পা খাতুন একাধিক বার রাফির নিজ বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করে। তারা নিয়মিত স্বামী স্ত্রীর মতই থাকা শুরু করে যেটা রাফি রহমানের পিতা, মাতা উভয়ের সম্মতিতেই।
কিছুদিন পরে চম্পা খাতুন গর্ভবতী হয়ে গেলে রাফি ও তার বাবা, মা মিলে জোরপূর্বক চার মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটের বাচ্চাটা গর্ভপাত করায়। ভুক্তভোগী নারী চম্পা খাতুন অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকলে তাকে ফেলেই পালিয়ে যায় স্বামী রাফি ও তার বাবা মা৷ পরে চম্পা খাতুনকে রাফির বাবা ফোন করে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলে তুমি আর কখনো আমাদের বাড়ি আসবে না।
অবৈধ গর্ভপাতের ফলে যখন চম্পা খাতুন ভয়াবহ রকমের অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সকল ঘটনা তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পরে এবং চম্পা খাতুনের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় তিনজন’কে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন।
এদিকে থানায় এজাহার দায়ের করার পর থেকেই চম্পা খাতুনের পরিবারের উপরে বিভিন্ন চাপ আসতে থাকে, তাদেরকে নাম মাত্র কিছু টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে রাফির পিতা,হাফিজুর রহমান পলাশ। বিভিন্ন মহলকে টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। থানায় ভুক্তভোগী ও বাদী হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়েরের তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখনো মামলা রুজু হয়নি বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে লিখিত এজাহার দায়ের হয়েছে বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে।