Crime News tv 24
ঢাকাশনিবার , ১৪ জুন ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুরি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালতে মিথ্যা মামলা, থানায় তদন্তের নির্দেশ।

Link Copied!

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলা লকপুর ইউনিয়নের বড় খাজুরা গ্রামে খানজাহান আলী ফিলিং স্টেশন এর পাশে শরীফুল ইসলাম এর গোডাউনে ১৯ মে রাত্র ২ ঘটিকার সময় একই এলাকার মনিরুল চুরি করতে গিয়ে ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীদের হাতে ধরা পড়েন। পরে চোরের ভাইয়ের উপস্থিতিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু নিরীহ ব্যক্তিদের নামে আদালতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়,

খাজুরা গ্রামের ইয়াকুব মোড়লের কাছ থেকে ঘর ভাড়া নিয়ে শরিফুল ইসলাম,টাওয়ারের মালামাল রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। গোডাউন টি খান জাহান আলী কিলিং স্টেশনের পাশে হাওয়ায় ওখানে কর্মরত ব্যক্তিরাই সেটি রাত্রে দেখে রাখেন। চোর মনিরুল রাত ০১ ঘটিকার দিকে চুরি করতে আসে এবং গোডাউনের শাটার ফুটো করে কোটা দিয়ে কিছু মালামাল সরিয়ে নেয় পরে চুরি করা অবস্থায় ২ ঘটিকার সময়

ফিলিং স্টেশনে দায়িত্ব রত ম্যানেজার মেহেদী হাসান,নজেল ম্যান মোঃ ইমন,মোঃ আসলাম চোরকে দেখে দাবড় দেয় তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন চলে আসে চোর দৌড় দিতে যেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাথা কেটে যায় তখনই তারা চোরকে আটক করে। এলাকাবাসী মনিরুলকে দেখে কাউকে গায়ে হাত না দেওয়ার জন্য বলে এবং উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে তার ভাই হাফিজুল মোড়ল এর উপস্থিতিতে

তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গোডাউন মালিক শরিফুল ইসলাম ২৪/০৫/২০২৫ তারিখ ফকিরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার জন্য যায় কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানার অফিস সহায়ক সাদেক আলী বলেন এ সামান্য ব্যাপারে অভিযোগ লাগবে না যেহেতু বিষয়টি আপনারা এলাকা গতভাবে মিটিয়ে নিয়েছেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চোর মনিরুলের বউ সুচতুর লকপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের

সভাপতি ইরানি বেগম অত্র এলাকার একই পরিবারের নিরীহ ব্যক্তি ১) মাছুম,২) মাফুজ,৩) মামুন সবার পিতা আব্দুর রশিদ শেখ ৪)ইমন,পিতা মাছূম,সর্ব সাং-বড় খাজূরা, থানা ফকিরহাট জেলা বাগেরহাট নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ফকিরাট থানায় তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এ ঘটনার সময়

তারা কেহই উক্ত স্থানে ছিলেন না। অত্র মামলায় সাক্ষী হিসেবে যাদেরকে রাখা হয়েছে তারা কেহই খাজুরা অঞ্চলের বাসিন্দা নয় এরা সবাই খুলনা রুপসা এলাকার বাদীর আত্মীয়-স্বজন। এ বিষয়ে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ওহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,আদালত তদন্ত সাপেক্ষ এফআইআর এর নির্দেশ দিয়েছেন আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ প্রকৃত বিষয়বস্তু সম্বলিত মুখোশ উন্মোচন

করে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করব। সূত্রে জানা যায়,যাদেরকে আসামি করা হয়েছে এদের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ওই মহিলার জমি জায়গা সংক্রান্ত মকদ্দমা চলমান। এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়,এই বাদী বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার সুবাদে এলাকার মানুষকে শান্তিতে বসবাস করতে দেয়নি, উনি একজন বিচক্ষণ মামলা বাজ মহিলা। বিগত দিনে অত্র এলাকায় নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে আদালতে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছেন।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ওই মহিলা এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে খুলনার রুপসা এলাকায় থাকেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে এলাকার মানুষকে শান্তিতে বসবাস করতে দিচ্ছে না। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী দিশেহারা। মহিলা হওয়ার সুবাদে বর্তমানে এলাকার কিছু পাতি নেতাদের সাথেও রয়েছে তার সখ্যতা। ইতি মধ্যে অত্র এলাকার সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ একত্রিত বদ্ধ হয়ে ওই মহিলার হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য গণস্বাক্ষর দিয়েছেন যেটা অভিযোগের মাধ্যমে ফকিরহাট উপজেলা ইউএনও বরাবর পেশ করা হবে।