সারা দেশে বৈশাখ উপলক্ষে দেশের বিলিন্ন স্থানে বসেছে বৈশাখী মেলা। সে সবমেলায় কাগজের ফলের যোগানদিতে নানা রংয়ের বাহারি কাগজ, কাপড় ওশোলা দিয়েফুল তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের ফুল তৈরির গ্রাম নামে পরিচিত জামগ্রামেরফুল তৈরির কারিগররা। তারা স্টার, চকি, মানিক, চাঁদ,গোলাপ, সূযমূখী, কিরণমালা, জবা,বিস্কুট,গাঁধাসহ বিভিন্ন নামের বাহারি নাম আর ডিজাইনের ফুল তৈরি করছেন।
প্রায় দুই যুগ আগে ওই গ্রামের ২-৩ টি হিন্দু পরিবার এই ফুল তৈরির কাজ শুরু করেন। এখন তাদের হাত ধরে পুরো গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস এই ফুল তৈরির কাজে নিয়োজিত। সংসার দেখভাল করার পাশা পাশি গ্রামের নারী-পুরুষ, স্কুল- কলেজের শিক্ষাথী,ছোট বড় সবাই এই ফুল তৈরির করার কাজ করে থাকেন। সরজমিনে দেখা গেছে, কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত অবধি কাজকরে যাচ্ছেন ফুল তৈরির কারিগররা। এদিনগ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে বিভিন্ন স্থানে জটলা বেঁধে কযেকজন নারী পুরুষ মিলে তৈরি করছেন এই কাগজের ফুল গুলো। ফুল তৈরির পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা। তবে পহেলা বৈশাখে এই ফুলের চাহিদা থাকে সব চেয়ে বেশি। তবে দুই ঈদে, বিভিন্ন পূজা ও মেলায় এই ফুল বিক্রি করা হয়। কেউবা কাপড়, কাগজ আর বাঁশসহ নানা উপকরণ দিয়ে সকাল থেকে রাত অবধি ফুল তৈরিরর কাজ ককরে চলেছেন। পরিবারের একজন নয়, ফুল তৈরির এর কাজ করছেন পরিবারের সকলেই। বিশেষ করে বাড়ির নারীরা সংসারের কাজ- কম সেরে তৈরি করছেন এসব বাহারি ফুল। খুব বেশি পরিশ্রম না হলেও ধৈয সহকারে করতে হয় এই হাতের নিপূন কাজগুলো। ফুল তৈরির পর পুরুষরা বিক্রির জন্য চলে যায় দেশে বিভিন্ন প্রান্ত জেলা গুলোতে। তারা ১৫-২০ দিন পযন্ত অবস্থান করে ফুল গুলো বিক্রি শেষে বাড়ি ফিরেন। এতে করে বাৎসরিক বড় অংকের আয় ও করে থাকেন ফুল তৈরির কারিগররা।
জামগ্রামের ফুলের কারিগর খবির বলেন, “ প্রথমে আমার দাদা, এর পর আমার বাবা। তারা গত হওয়ার পর আমি দীঘ ২০ বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি। এসব ফুল তৈরির উপকরণ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। সে গুলো প্রক্রিয়াজাত করে ফুরৈ রুপান্তরিত করা হয়। জামগ্রামের ফল তৈরির কারিগর মরিয়ম বেগম বলেন, এই ফুল তৈরি করে আমার স্বামী জসমত আলী চট্রগাম, নরসিংদি, ভোলা, পাশ্ববতী জেলা রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও নাটোর, চাঁপাইনবাবগজ্ঞ, রাজশাহী বগুড়া, তার স্বামী এই ফুল তৈরি করে পাইকারি ও ফেরি করেবিক্রি করেন। বতমানে দুই সন্তান ও বাবা-মা নিয়েয়ৌথ ভাবে সংসার করছি।এই ফুল তৈরি থেকে য়ে আয় হয়তা দিয়ে অনেক স্বচ্ছল ভাবেই দিন কেটে যায়। আমরা সারা বছরএ কাজ করে থাকি আমরা” পহেলা বৈশাখ, দূগাপূজা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মৌসুম ভেদে লাভ হয় প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকাপযন্ত। ফুলের কারিগর সাহিদা বানু বলেন, “ ফুল তৈরিতে গৃহিনীদেরঅবদান সবচেয়ে বেশি। সংসারের সব কাজ শেষ করে পরিবারের পুরুষদেরএই ফুল তৈরিতে সাহায্য করি। আত্রাই উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃকামাল হোসেন বলেন,“ সৌখিন মানুষ ও শিশুদেরকাছে এই বাহারি কৃত্রিম ফুল গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। এই ফুল তৈরির কারিগররাবাংলার সাংস্কৃতিক উৎসবকে বণিল করতে বিশেষভূমিকা রাখছেন।শুধু পহেলা বৈশাখ নয়, বিভিন্ন গ্রামীণ মেলার সৌন্দয বধনে ব্যাপকভূমিকা রাখে এই জামগ্রামের ফুল”
প্রতিবেদনঃ-কামাল উদ্দিন টগর
নওগা জেলা প্রতিনিধি
ক্যামেরায়ঃ- শিপ্রা রানী।