বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভিটাবাড়ি উদ্ধার উদ্দেশ্যে (৬) জনকে অভিযুক্ত উল্লেখ করে গোয়াড়া নিবাসী সন্তোষ লস্কর বাদী হয়ে রূপসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিস্তারিত ”
খুলনার রূপসায় মৃত নারায়ণ চন্দ্র লস্করের ছেলেদের বসবাসরত ৮ খান ঘর, বাড়ির ৭২ শতক জমি, যাহার মধ্যে একটা পানের বরজ, ৫/৭টা গরু, পারিবারিক
ব্যবহারকৃত মালামাল সহ ভূমিদস্যুদের নিকট জোর পূর্বক দখলে রয়েছে।
যাহার কারণে পরিবারটি গত ১৭ বছর ধরে ভিটামাটি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে অবস্থান করছে। এমনকি পরিবারের ছোট ছেলে রিপন লস্কর
অন্য ব্যক্তির (মনোশান্ত মাস্টার) এর ঘর ভারা নিয়ে বসবাস করছে ও বড় ছেলে সন্তোষ লস্কর বিভিন্ন লোকের বাড়ি পরিবার ছাড়া অবস্থান করছে।
তাদের ভিটামাটি ও ৮ খানা ঘরের ক্ষয়ক্ষতি, লুট হওয়া
মালামাল সহ বসতি বাড়ির জমি ফিরে পেতে ঘাটভোগ ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আজিদুল ইসলাম নুন্দুর নিকট বিচার চেয়ে আবেদন করলে গত ২০ সেপ্টেম্বরে ২০২৫ এর সন্ধ্যায় সামাজিক ভাবে বসা বসির কথা ছিলো।
বর্তমানে (জমি জোরপূর্বক দখল বালা পরিবার) দখল কৃতরা সামাজিক ভাবে বসতে রাজি না হওয়ায় আবারও সন্তোষ লস্করের পরিবার অন্ধকারেরদিকে ফিরে গেলো।
এলাকাবাসীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায় যে.খুলনার রূপসা উপজেলার ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের গোয়াড়া গ্রামে বসবাসকৃত নারায়ণ চন্দ্র লস্কর ও তাহার চার ছেলে – সন্তোষ চন্দ্র লস্কর (৭৫) দুলাল চন্দ্র লস্কর (৬০) স্বপন চন্দ্র লস্কর (৫৩) রিপন লস্কর (৩৮) সহ তাদের পরিবার থাকতেন।
এছাড়াও নারায়ণ চন্দ্র লস্করের দুই কন্যা সন্তান এবং নাতিপুতিনদের নিয়ে খুবই সাভাভাবিক সাদামাটাভাবে জীবন জাপান করছিলেন বাংলা ১৩৬০ সন হইতে।
হঠাৎ ভূমিদস্যু, জমি লুভি, ডাঙ্গাবাজ দের নজরে পরে একটা সাধারণ পরিবার হাসিখুশি সংসার ভেঙ্গে গেলো। এমনকি তাদের নিজস্ব ভিটামাটি ঘরবাড়ি চোখের পলকেই লুটপাট হয়ে গেলো।
তাতেও রক্ষা পাইনি নারায়ণ চন্দ্র লস্কর এর পরিবার। বিভিন্ন মিথ্যা মামলা,ছোট ছেলে রিপন চন্দ্র লস্কর কে হত্যার উদ্দেশ্যে নাকের উপর, পিঠে, বুকে কোমোরের
উপর, মাথায় লোহার রামদা এবং গুপ্তি দিয়ে কুপিয়ে
রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গিয়েছিল।
পরবর্তীতে কয়েকজন পথচারী ও স্থানীয়রা জখম অবস্থায় পরে থাকতে দেখে আহত রিপন কে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী তে ঢাকায় নেওয়া হয়ে ছিলো উন্নত চিকিৎসার জন্য।
উল্লেখ্য ” নারায়ণ চন্দ্র লস্কর ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গোয়াড়া গ্রামের (চরপাড়া) এলাকায় দূর্ঘ বাংলা ১৩৬০ হইতে বসবাস করছিলেন।
তিনি সহ ছেলেরা সকলেই জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে কঠোর ভাবে জড়িত ছিলেন। এমনকি তাহার মেজো ছেলের স্ত্রী বিএনপি নেত্রী ও শিয়ালী + গোয়াড়া ৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার ছিলেন।
তবে বিগত ১৭ বছর আগে বিএনপি দল সরকারের ক্ষমা থেকে চলে গিয়ে আওয়ামী লীগ দল সরকারে আসলে তাদের জীবনে এক কালবৈশাখী ঝর নেমে আসে পাশের গ্রামের বালা পরিবারের মাধ্যমে।
পাশের গ্রাম বলতে ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ডোবা গ্রামের অংশ (চরপাড়া) এলাকার মৃত শুশেন বালার ছেলে – সুকুমার বালা (৬৫) অশোক বালা (৬০) অসীম বালা (৫৫) মহিম বালা (৪৫)মিহিতোষ (৪০)অপরদিকে মৃত হরিপদ বালার ছেলে রমেশ বালা (৬০) দিপক বালা( ৪৫) দেবাশীষ বালা (৪২) দেবব্রত বালা (৩৮) এদের কুদৃষ্টি পরে বর্তমানে মৃত নারায়ণ চন্দ্র লস্কর এর পরিবার, ভিটামাটি, ঘরবাড়ি ও ছেলে দের প্রতি।
ওই সময় লস্করের পরিবারের সকল সদস্যরা বিএনপি দল করায় তারা কোথাও একটু সহযোগিতা বা সঠিক বিচার পাইনি।
এ ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে. ইউনিয়নের গোয়াড়া গ্রামের মৃত অর্ধেন্দু মালাকারের মেজো ছেলে অমৃত মালাকার (৫৩) তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এভাবে কোন পরিবার কে নিশ্চিহ্ন করতে নেই। তাদের বাড়ি ঘর সহ জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানাই সমাজের প্রতি।
গোয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা,৫নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা কৃপাসিন্দু (গুট্টে) মালাকার (৭৫) তিনি বলেন আমরা ওই সময় অনেক চেষ্টা করেছি ভিটামাটি হারা পরিবারের পক্ষে, তবে কিছুই করতে পারিনি।
এছাড়াও ঘাটভোগ ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি ( আমীর) ডোবা গ্রামের বিজয় মজুমদার (৭০) তিনি ও একই কথা বলেছেন এবং সন্তোষ লস্কর দের ভিটামাটি ফিরিয়ে দেওয়া জন্য দখলদারদের ও অনুরোধ করেছেন।
একই কথা বলেছেন, গোয়াড়া গ্রামের বিএনপি নেতা উত্তম মালাকার (৪৫), গোয়াড়া গ্রামের মহলী পাড়ার পরিমল মহলী (৭৫) তিনি ও এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়াও গোয়াড়া গ্রামের বিএনপি নেতা অনিন্দ্য মালাকার (৩৫) তিনি ও এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে গোয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা অরুণ মালাকার (৭৫) তিনি বলেন উক্ত ৭২ শতক জমি সন্তোষ লস্কর আমাদের কাছ থেকে কিনে ছিলেন। কিন্তু কি কারণে বালা পরিবার দখল করলো তা আমার জানা নেই। তবে এই জমির বর্তমানে মূল মালিক সন্তোষ লস্কররা। যাহা বালা পরিবারের কখনো ছিলো না।
উক্ত জমির -খতিয়ান নং _৬৭৫. ডোবা -মৌজা, জে,এল,নং. ৫৩, রে. সা. নং. ৩৭৫১ – রূপসা, খুলনা।
এর সাবেক (৩) দাগ বর্তমানে (৪১) দাগ হিসাবে পরিচিত যাহার মোট জমির হিসাব ৭২ শতক।
উক্ত জমির রেকর্ড হিসাবে ৭২ শতক এর মালিক সন্তোষ লস্কর পরিবার। বর্তমান জরিপ অনুযায়ী – ঘর/৮ হিস্যা.৩৬১। দাং. দুলাল চন্দ্র লস্কর, স্বপন চন্দ্র লস্কর, রিপন চন্দ্র লস্কর – পিং নারায়ণ চন্দ্র লস্কর সাং- নিজ। বাংলা ১৩৬০ সন হইতে।
প্রমাণ (সহকারে) বর্তমান জরিপ অনুযায়ী রেকর্ড এর (কাগজ) ও সন্তোষ লস্কর এর ছবি সহ জাতির সামনে তুলে ধরা হলো।
……………………………………………………………………….
এছাড়াও গোয়াড়া গ্রামের (বাগচিপাড়া) এলাকার ডাক নাম -(খটা বাগচী)র”ছেলে অজিত বাগচিগণ দের জমি জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ রয়েছে, পিতা মৃত. শুশেন বালার ছেলে সুকুমার বালা ও অশোক বালার নামে। /যা নিয়ে খুলনা জজ কোটে মামলা দায়ের করেছেন অজিত বাগচি গণ।