জমিজমা সংক্রান্ত জটিল আইনকে সহজভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত আইন আলোচনা করছেন।সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও সিভিল ল’ ফাউন্ডেশন-এর পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান (জিয়া) দেশের সিভিল আইন শিক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জমিজমা সংক্রান্ত জটিল আইনকে সাধারণ মানুষের জন্য সরল এবং বাস্তবধর্মী করে উপস্থাপন করার মাধ্যমে তিনি ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার খাঁনবাড়ীর মরহুম বেলায়েত হোসেন খানের মেঝ ছেলে তিনি। রাজধানীর বাসাবো-কদমতলায় প্রতিষ্ঠিত “সিভিল ল চেম্বার”-এর মাধ্যমে তিনি সিভিল ল’ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেন। এসব প্রশিক্ষণে সাধারণ মানুষ, আইনজীবী ও সার্ভেয়াররা জমিজমা সংক্রান্ত মামলার জটিল বিষয়গুলো সহজে বুঝতে পারছেন এবং সমাধানের উপায় খুঁজে পাচ্ছেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন—
> “আগে জমিজমার মামলা মানেই বিভ্রান্তি ও হয়রানি ছিল। এখন প্রশিক্ষণের কারণে অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। মামলা না করেই অনেক সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে।
জটিলতাকে সরল করার লক্ষ্য
অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান বলেন—
> “আমাদের দেশে অনেক সিনিয়র আইনজীবী থাকলেও সিভিল মামলার জটিলতায় তারা আগ্রহী হন না। সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে সাধারণ মানুষও বিভ্রান্তিতে পড়ে। আমাদের লক্ষ্য হলো এই জটিলতাকে সরল করে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।”
তিনি আরও বলেন—
> “জমিজমা সংক্রান্ত মৌলিক আইনি জ্ঞান শুধু আইনজীবীর নয়, প্রতিটি মানুষেরই জানা জরুরি। তাই আমরা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে চাই।”
—
গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা
অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন—
> “আইনের বিভ্রান্তি দূর করতে সঠিক জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। গণমাধ্যম এই জ্ঞান দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
—
উল্লেখযোগ্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন
সাম্প্রতিক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ইকবাল হোসেন, সম্পাদক ও আইনজীবী মাসুম বিল্লাহ, জর্জ কোর্টের আইনজীবী এ এস এম হাবিবুর রহমান, আইনজীবী মোঃ হান্নান, সার্ভেয়ার এ.কে.এম নাঈম ও আইনজীবী তামান্না আক্তার প্রমুখ।
—
উপসংহার
অংশগ্রহণকারীদের মতে, সিভিল মামলার জটিলতায় দেশের সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মামলা চালাতে গিয়ে সময়, অর্থ ও মানসিক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। এই শূন্যস্থান পূরণে অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দেশের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।