চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের দমকের গাঁও গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুলালের খুঁটির জোর কোথায়? জানা যায়, দেলোয়ার হোসেন দুলাল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ও সন্ত্রাসী চাদাবাজদের চেলা। ক্ষমতার দাপটে সন্ত্রাসী চাদাবাজদের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত তার নিজের ভাইদের সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখল করে। বড়ভাই মো: আলী জিন্নাহকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে। তার মৃত ভাই মানিক এর সম্পত্তি জীবিত থাকাকালীন রেজিষ্ট্রি করার পর টাকা না দিয়ে মারধর করে স্ত্রী-সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। দুলাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে তার ভাইয়েরা বাড়িতে উঠতে পারেনা। সে তার ভাইদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। তার ভাই মফিজ মিয়া প্রবাসে যাওয়ার পর তার বসত ঘর ও আসববাবপত্র বিক্রয় করে দেয় এবং তার সন্তানদেরকে উচ্ছেদ করে। সই নেওয়া খালি স্ট্যাম্পে ৩০ লাখ টাকা পাওনা দাবী করে দলিল জালিয়াতি করে মিথ্যা মামলা করে। এমনকি তাঁর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করে । সন্ত্রাসী চাদাবাজদের মাধ্যমে হুমকি ধমকি ভয়ভীতির মাধ্যমে সে তার সকল ভাইদেরকে বাড়ি ছাড়া করে রাখে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ী ছাড়া ভাই ভাবি ভাতিজা ও ভাতিজিরা।
নিজের ও সন্তানদের নিরাপত্তাসহ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারে মফিজ মিয়া চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন। চাঁদপুর সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করলে গত ২৬ জুন ২৫ ও ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে সেনাক্যাম্পে বৈঠকের মাধ্যমে সকলের হিস্যা যথাযথ বন্টন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলেও দুলাল বাড়ি পর্চা আর জালিয়াতি দলিল ছাড়া অন্য কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মিথ্যা দাবী করা জমি রেজিষ্ট্রির দলিল দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে মো. মফিজ মিয়া বলেন, আর্মিদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে আগামী মাসের ১০ আগস্ট বৈঠক থাকলেও সে আমার নামে দলিল জালিয়াতি করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে ৩০ লক্ষ টাকা দাবী করে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা করে এবং ওয়ারেন্ট বের করে। আমি এই মিথ্যা ও জালিয়াতি মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দখল করে ২০০৭ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ভোগদখল করে খাচ্ছে। আমার সন্তানদের বাড়িছাড়া করছে। বাড়ির সর্বস্ব দখল করে খাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অপমানও লাঞ্ছিত করে আসছে। তাই আমার মানহানীর জন্য ও দলিল জালিয়াতির মাধ্যম্যে মিথ্যা জালিয়াতি মামলার বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
ন্যায্য অধিকার ও আইনি সাহায্য নিতে চাইলে সে বলে আরো ১৪ গুণ বেশি ব্যবস্থা করে রাখছি ভয়ভিতি দেখায় যাতে আপোষে বাড়ির সকল সম্পত্তি সে ভোগ দখল করতে পারে।