ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান ও কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার সকালে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, “দেশে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে। তাই পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাই পথে গরু আনার কোনো প্রয়োজন নেই। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে বিজিবি।”
তিনি জানান, ঈদের পরে কোরবানির পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কাও রয়েছে। এ বিষয়ে সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। কেউ পাচারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া জানান, ঈদে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপন করতে পারে, সেজন্য সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সীমান্তে ‘পুশ-ইন’ ও অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে। এসব প্রতিরোধে বিজিবি কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে—বিজিবির অনুমতি ছাড়া কেউ যেন সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবেশ না করে।
এ ছাড়া নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সীমান্তবাসীদের সচেতন করতে সভা ও প্রচার কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ, ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার ও সহকারী পরিচালক ফিরোজ হোসেনসহ অন্যান্য বিজিবি কর্মকর্তারা।