নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৪ নং গড়াডোবা ইউনিয়নে গত ২৯/৫/২৫ইং রোজ বৃহস্পতিবার
বেলা ১০ ঘটিকার সময় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত ইউনো ও তদন্ত কমেটির উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে স্থানীয় নাগরিক হিসেবে বিগত ইং ১৬/০৪/২০২৫ তারিখে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও পরবর্তীতে ইউনও এবং বিভাগীয় কমিশনের বরাবরে অভিযোগ করেন , সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম, ইউনও, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ২৯/৫/২০২৫ তারিখে ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদে একটি শুনানির আয়োজন হয়, উক্ত শুনানিতে ১। মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (প্রশাসন) ৪নং গড়ডোবা ইউনিয়ন পরিষদ, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা, ২। নাসির উদ্দিন টুটুল ( উদ্যোক্তা), ০৪নং গড়ডোবা ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দুয়া, নেত্রকোণা সহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জন এর নামে। ২নং বিবাদী সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন বিবাদীগণ পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান থাকাকলিন সময় থেকে সরকারী ফী ব্যতিত তাদের চাহিদা মতো (ঘুষ) টাকার বিনিমিয়ে মাতৃকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জন্মনিবন্ধন সহ বিভিন্ন ভাতা ও সেবা বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘুষের টাকার বিনিময়ে তাদের অনৈতিক কার্যকলাপ করিয়া আসিতেছে। এমন অভিযোগের ভিক্তিতে শুনানি হয়। সরজমিনে দেখা যায় শুনানিতে অভিযোগকারীর কোন প্রকার প্রমানাদি না দেখেই, অভিযুক্তগণ স্থানীয় কিছু নেতা কর্মীদের বিভিন্ন কৌশলে বুঝিয়ে প্রভাব বিস্তার করে এবং শুনানির মাঝ খান থেকে ডেকে নিয়ে তার অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেওয়ার সময় গনমাধ্যম কর্মীরা এগিয়ে গেলে তাদের বের করে দেয় অভিযুক্তদের পক্ষের কিছু লোক এবং অভিযোগকারীকে বাধ্য করে অভিযোগ তুলে নিতে এবং গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হুমকি ধমকি দিয়ে বের করে দেয়। শুনানি কালে কেন্দুয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনো গণমাধ্যম কর্মীদের ভিডিও করতে নিষেধ করলেও পাতানো লোকদের ভিডিও করতে কোন নিষেধ দেননি তিনি। এ নিয়ে জন মনে প্রশ্ন উঠে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক লোকজন বলেন, যেখানে গন মাধ্যম কর্মীদের হেনস্তা করছে সেখানে আমরা সাক্ষী দিলে নিশ্চিত বিপদে পারবো তারা আরো বলেন স্বার্থবাদি কিছু লোক শুনানির জায়গায় তাদের পাতানো লোকজনকে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে যার কারণে সাক্ষীগণ ও জন সাধারন এসে উপস্থিত হলেও বিভিন্ন বিপদের ভয়ে চলে যায়। তদন্ত কমিটি অভিযোগকারীর প্রমাণ স্বরূপ তার হাতে থাকা বিবাদীদের বিকাশ ও ব্যাংকের লেনদেনের কাগজপত্র দেখে নাই। এমন শুনানির কারনে সাধারন জনগন সহ এলাকা বাসি তিব্র নিন্দা জানায় এবং তারা আরো বলেন ২নং বিবাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের আপন ভাতিজা ও তার সহযোগী আবু বক্কর উপজেলা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা যারা পাঁচই আগষ্টের আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোক জনদের সাথে কাজ করতো। স্থানীয় লোক জন আরও জানান অভিযোগকারী একজন গণমাধ্যম কর্মী হওয়া সত্বেও সে ঠিকে থাকতে পারে নাই সেখানে আমরাতো সাধারণ জনগণ আর তাদের তান্ডবে আমরা আতঙ্কিত। এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় উদ্দোক্তা নাসির উদ্দিন টুটুল ফেসিষ্ঠ সরকারের লোকজনদের সাথে মিলে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার মতো বিষয়টি জন সাধারনের মনে প্রশ্ন আনে কি করে একজন সাধারণ উদ্দোক্তা হয়ে এত সম্পদ করল, যার কয়েক বছর আগেও চলতে হতো টানাটানি করে সে কি করে নেত্রকোনার মেইন শহরে জায়গাজমি কিনে? এ বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডা. মো ইউনোসও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করেন সাধারন জনগন এবং প্রকৃত ঘুষখোরদের বিচার দাবি জানান।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া ভারপ্রাপ্ত ইউনো নিলোফা ইয়াসমিন ইউনোকে মোঠোফোন ফোন দিলে, এখন তার বক্তব্য দেওয়ার মতো সময় নেই ব্যস্ত আছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার জেলাপ্রশাসক বনানী বিশ্বাসকে বিকাশে লেনদেন করার কথা জানালে তিনি বলেন প্রমান দেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অভিযোগকারীর অভিযোগ শুনানি শেষ হতে না হতেই অত্র ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ৬,৭,৮ নং নির্বাচিত মেম্বার মন্জুরা আক্তার সহজ সরল পেয়ে তাকে দিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন মূলক বাজেটের টাকা ব্যংক একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করতে হয় বলিয়া অত্র ইউনিয়নের সচিব আনোয়ার উক্ত মেম্বারকে দিয়ে একটি ব্যংক একাউন্ট খুলিয়ে উক্ত একাউন্টের চেক বহির চেক গুলোতে উক্ত মেম্বারের স্বাক্ষর নিয়ে সচিব তার নিজের কাছে রেখে অদ্য পর্যন্ত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দের আসা সকল টাকা উক্ত মেম্বারকে না জানিয়ে গোপনে সকল টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ৬,৭,৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার মন্জুরা আক্তার । স্থানীয় সুত্রে জানা যায় স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকর্মী সহ সাংবাদিকদের মাধ্যমে উক্ত চেক বইটি সচিব বনোয়ার এর কাছ থেকে উদ্ধার করলেও উক্ত চেক বহির কিছু চেকের পাতা সচিবের কাছ থেকে উদ্ধার করা আদো সম্ভব হয়নি। উক্ত বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান অত্র ইউনিয়নবাসী।