Crime News tv 24
ঢাকাবুধবার , ৪ জুন ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল সিভিল সার্জন অফিস : টাকা ছাড়া মেলেনা কোন সেবা।

Link Copied!

বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একেরপর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের স্তুপ।প্রধান সহকারী,অফিস সহকারী,পিয়ন,দারোয়ান ও হিসাব রক্ষক মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় ঘুস, দুর্নীতি ও অনিয়মের সব কর্মকান্ড। প্রধান সহকারী মিজানুর রহমানের বিরূদ্ধে সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগের তদন্ত শেষ না হতেই আরো তিন কর্মচারীর বিরূদ্ধে ঘুষ গ্রহণের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। তবে অভিযুক্ত কর্মচারীরা এসব গায়ে মাখছে না। তাদের ভাষ্য- এতে কিছুই হবে না,
সম্প্রতি জোরপূর্বক ঘুস আদায়ের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন আবু জাফর নামে এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে বলা হয়েছে, বয়সের ত্রুটি সম্পর্কিত একটি সনদ আনতে সিভিল সার্জন অফিসে যান জাফর। তাকে ডেকে নিয়ে অফিস সহকারী (স্টেনো) মোঃ রেজাউল ও পিয়ন (গার্ড) হাসনাইন ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। অবশেষে ১০ হাজার টাকায় রফদফা হয়। এই টাকার ভাগ হিসাব রক্ষক জায়েদা আনোয়ার মুন্নিকেও দিতে হয় বলে জানায় ঐ দুজন। এর কিছুদিন আগে প্রধান সহকারী মিজানুর রহমানের বিরূদ্ধে সার্টিফিকেট বানিজ্যে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ দায়ের করেন আরেক ভুক্তভোগী। সেই টাকার ভাগও হিসাব রক্ষক সহ অন্য কর্মচারীরা পায় বলে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগটি তদন্তনাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে যেন ঘুসের হাট খুলে বসেছে কিছু কর্মচারী। স্বৈরাচারের দোসর সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসানের সময় এসব ঘুসখোর কর্মচারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল মেলেনি। কেননা ডাঃ মারিয়া নিজেও এসব ঘুসের ভাগ নিতেন। তবে মারিয়া হাসান বদলী হলেও অন্যান্য দোসররা রয়েছে বহাল তবিয়তে। একেকজন কর্মচারী বাড়ি গাড়ি সহ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন,
ঘুস আদায় সিন্ডিকেট,
এছাড়া এই ঘুস আদায়ের সিন্ডিকেটলাইসেন্সের জন্য বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক ল্যাবের অনলাইন আবেদন, পরিদর্শন এবং মেডিক্যাল ফিটনেস থেকেই বেশির ভাগ ঘুষ আদায় করছে।
অভিযোগ উঠেছে অফিসের দুর্নীতিপরায়ণ কতিপয় কর্মচারী সিভিল সার্জনের নামে সেবা গ্রহীতাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আদায় করছেন এই ঘুষের টাকা। প্রচার রয়েছে এর ভাগ যাচ্ছে ওপর মহলেও! ফলে স্থানীয় বেসরকারী হাসপাতালের মালিকসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে,
বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক ল্যাব সোনার ডিম পাড়া হাঁস,
বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কমকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে যেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস প্রতিটি বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক-ল্যাব। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক ল্যাব মালিকরা নতুন লাইসেন্স ও পুরনো লাইসেন্স নবায়নে অনলাইন আবেদনের পর পরিদর্শনের জন্য ভিড় জমান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী সিভিল সার্জন হাসপাতাল ও ক্লিনিক ল্যাব পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। মূলত এই প্রতিবেদনের ওপরই নির্ভর করে থাকে লাইসেন্সের ভাগ্য। অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি অনলাইন আবেদন পরীক্ষার জন্য ৫ হাজার টাকা এবং প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ল্যাব পরিদর্শনের পর পজিটিভ রিপোর্টের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক জায়েদা আনোয়ার মুন্নি ও প্রধান সহকারি মিজানুর রহমান এই ঘুষ আদায়ের জন্য সিভিল সার্জনের নামে আদায় করছেন এই ঘুষের টাকা। দীর্ঘদিন অনলাইনে আবেদন জমা নেয়া, লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স প্রদান বন্ধ থাকার পর চালু হলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন হাসপাতাল ও ক্লিনিক ল্যাব মালিক কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিল ।তার তদন্ত করেছে পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র দপ্তর। হিসাব রক্ষক জায়েদা আনোয়ার মুন্নি বলেন, আমি কোন টাকা পয়সা নেইনা। যারা আমার কথা বলেছে ওদের ঘার ধরে জিজ্ঞেস করবো।পিয়ন (গার্ড) হাসনাইন বলেন, যেহেতু আমাদের নামে অভিযোগ দিয়েছে সে হিসেবে আমরা দোষী। তবে এ ব্যাপারে রেজাউল সাহেব ভালো বলতে পারবেন।অফিস সহকারী (স্টেনো) মোঃ রেজাউল বলেন, এই সনদটি আমি করিয়ে দিয়েছিলাম। আমার মাধ্যম হয়েই এই কাজটি হয়েছে। তবে টাকা পয়সা লেনদেন করার মত কিছু মনে পড়ছেনা।
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এস.এম. মনজুর-এ-এলাহী বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আমার এ অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মের কোন প্রশ্রয় দেয়া হবেনা।সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন,কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করা হবেনা তদন্ত দোষী প্রমানিত হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এ ব্যাপারে কোন ছাড় নয়।