খুলনার উপকূলীয় পাঁচ উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকার কৃষিজমিতে এখন চলছে তরমুজ আবাদের কর্মযজ্ঞ। সার, পানি ও কীটনাশক ছিটাচ্ছেন কৃষকরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে এমন ব্যস্ততা। ফুলে ফলে পরিপুর্ণ হয়ে উঠেছে খেত গুলো।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং ভালো দাম মিললে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির আশা সংশ্লিষ্টদের। ,জেলার কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ আবাদে জমি প্রস্তুতির কাজ শেষে বীজ রোপণ করা হচ্ছে। নারীরা সারিবদ্ধভাবে জমিতে তরমুজের বীজ বসিয়ে দিচ্ছেন। কিছু জমিতে বীজ রোপণ শেষ হওয়ায় সেখানে অনবরত দূরের খালে কিংবা পুকুরে জমা পানি সেচযন্ত্রের সাহায্যে পাইপ দিয়ে আনা হচ্ছে খেতে। অনেকে তরমুজ খেত পাহারা দিতে খেতের মধ্যে থাকার জন্য ছোট ছোট ঘর করেছেন।
জেলার আবাদ হওয়া উপজেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দাকোপে ৮ হাজার হেক্টর, কয়রায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর, পাইকগাছায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ৫০০ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় সব মিলিয়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে তরমুজ উৎপাদন হবে ৭ লাখ মেট্রিক টন।গত বছরের দর হিসেবে যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি।
দাকোপ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, জেলার মোট উৎপাদিত তরমুজের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ চাষ হয় এ উপজেলায়।
গত মৌসুমে দাকোপে ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হলেও এবার ২ হাজার ৩০০ হেক্টর বেড়ে চাষাবাদ হচ্ছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে। তিনি বলেন, কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি আমরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে।