পুলিশের তৎপরতায় ফলতায় নির্জন এলাকায় খড়ের গাদায় পুড়িয়ে হত্যা করা মহিলার পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৃতের নাম মুসলিমা বিবি(৩৫)। অভিযুক্ত মৃতের স্বামী গোলাম আলি সেখ।
গত বুধবার সকালে ফলতার বুদা এলাকায় নির্জন জায়গায় খড়ের গাদা আগুনে পড়তে দেখেন আগুন নেভাতে গেলে খড়ের সঙ্গে এক মহিলার মৃতদেহ পুড়তে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা ফলতা থানায় পুলিশের খবর দেয়। পুলিশ এসে আগুনে পোড়া খড়ের গাদা থেকে মহিলার আগুনে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। আগুনে মহিলার দেহের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যায় চিহ্নতে না পেরে। ঘটনার খবর নিতে বিভিন্ন থানায় জানায়। এবিষয়ে শুক্রবার দূপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে জানান, আগুনে পুড়ে মহিলার দেহ বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায় চিহ্নতে না পেরে সমস্ত থানায় জানানো হয়। পরে জানা যায় মৃত্যুর বাড়ি বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় ২০২১ সালে মৃত মুসলিমা বিয়ে হয় গোলাম আলি সেখের সঙ্গে, তাদের ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বেশকিছু কারণে তাদের সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় পরে ২০২৩ সাল থেকে মুসলিমা মেয়েকে নিয়ে বাপের বিষ্ণুপুর এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকতো। মেয়ের জন্য মাঝে মধ্যে মুসলিমা তার স্বামী গোলাম আলি সেখের সঙ্গে দেখা করতে যেতে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে জানতে পারে তাদের অশান্তির কারণ মুসলিমা একাধিক অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার। অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় মৃতের স্বামী অভিযুক্ত গোলাম আলি সেখ মেনে নিতে পারেনি। অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে না পারা জেরে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে বলে জানা যায়। বুধবার স্বামীর সঙ্গে বাইকে করে আসে তখন দেখেন মৃতের মা। পুলিশের কাছে স্বীকার যে নির্জন এলাকায় নিয়ে এসে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে পেট্রোল পাম্প থেকে বোতলে করে পেট্রোল নিয়ে এসে ফলতার নির্জন এলাকায় খড়ের গাদা এবং মৃতের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। শুক্রবার রাতে ফলতার গোপালপুর এলাকার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত গোলাম আলি সেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।