বন্দর থানাধীন চর নেহালগঞ্জ এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আটজনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আজ শনিবার সকাল দশটায় চর নেহালগঞ্জ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আবুল কাশেম বেপারী (৭০) নাসির হাওলাদার (৪৫) ইমরান হোসেন (২১) পপি (৩৫) শারমিন (২৮) তাইবা (১০) আয়েশা (৫০) ও রোকেয়া (৬০) নামের পাঁচজন গুরুত্বর জখম হয়।পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।আহত সূত্রে জানা যায় আবুল কাশেম বেপারী নগরীর গড়িয়ারপার এলাকার মৃত আবুল হাশেম বেপারীর ছেলে। দীর্ঘ ৩০ বছর আগে কাশেম বেপারী চর নেহালগঞ্জ এলাকায় সাড়ে এগারো শতাংশ জমি ক্রয় করে।এবং দীর্ঘদিন থেকে সেই জমি ভোগ দখল করে আসছিল।হঠাৎ করে ২০২৩ সালে চর নেহালগঞ্জ এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল ওই জমি তার বলে দাবি করে। এনিয়ে কাশেম বেপারী আদালতে মামলা করলে ওই জমির রায় কাশেম বেপারীর পক্ষে আসে।পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল সেই জমিতে আবার আপিল করে।সেখানেও আবুল কাশেম বেপারীর নামে সেই জমির রায় আসে।
আদালত থেকে দুইবার রায় পাওয়ার পর আজ শনিবার ওই জমিতে মাটি কেটে ঘর নির্মাণের কাজ করার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গেলে প্রতিপক্ষ রাসেল,তার বাবা ইসমাইল, হাবিবুর রহমান, মোশারফ, ইব্রাহিম, অরুণ, রাহাত, রেজাউল, হাফেজ, কলম গাজী ও কালাম শরীফ সহ অজ্ঞত ২০-২৫ জন লোহার পাইপ ও রড নিয়ে আবুল কাশেম বেপারী তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তার সাথে থাকা নাসির, ইমরান, পপি, শারমিন, তায়েবা, আয়েশা বেগম কে এলোপাতাড়ি পিটাতে শুরু করে।
পরে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় উউদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।এ বিষয়ে আহত কাশেম বেপারী সাংবাদিকদের জানায় তিনি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ দীর্ঘদিন যাবত চোখে দেখেনা।৩০ বছর আগে তিনি সাড়ে ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং রাস্তার জন্য আধা শতাংশ জমি ছেরে দেয় এবং ১১ শতাংশ ভোগ দখল করে আসছে।প্রতিপক্ষ রাসেল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছিল।এখন আদালত আমার পক্ষে জমির রায় দিয়েছে। তারপরও সে তার সন্ত্রাসী ক্ষমতা বলে ওই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে।এ ঘটনায় আহতরা বর্তমানে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।