বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওটিতে নবজাতককে আটকে রেখে হাজার টাকার বকশিশ বাণিজ্য চলছে।প্রতিনিয়ত গাইনি ওটিতে এক্সট্রা কর্মচারী শিউলির নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে অসহায় রোগীরা।বাচ্চা জন্ম গ্রহনের পর তাকে এক, দুই হাজার টাকা বকশিশ না দিলে বাচ্চা আটকে রেখে নানা ধরনের কথা শোনান রোগির স্বজনদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপ-পরিচালক ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহিন এর লোক হওয়ায় নির্বিঘ্নে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে এক্সট্রা কর্মচারী শিউলি।আজ ৩ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় শেবাচিমের গাইনি ওটির সামনে গেলে দেখা যায় এমন চিত্র। বরিশাল সদর উপজেলার দিনারের পোল নামক স্থান থেকে টুম্পা নামের এক রোগী ভর্তি হয়।
সন্ধ্যায় টুম্পার ওটি হয় শেবাচিমের গাইনী ওটিতে।কিছুদিন পরে টুম্পার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।সন্তান প্রসবের পরে ডাকা হয় রোগের স্বজনদের। এক্সট্রা কর্মচারী শিউলি রোগীর স্বজনদের কাছে খুশি করার জন্য কিছু টাকা দাবি করে। এ সময় রোগীর স্বজন তাকে ৫ শত টাকা দিতে গেলে ক্ষিপ্ত কর্মচারী শিউলি।
পরে ২ হাজার টাকা দাবি করে রোগীর স্বজনদের কাছে।এ সময় রোগীর স্বজনদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উপস্থিত হয়ে সংবাদ কর্মী। এক পর্যায়ে সংবাদ কর্মীর সামনে বসে বীর দর্পে ৭শত টাকা নিয়ে নেয় রোগীর কাছ থেকে।এ সময় শিউলি সাংবাদ কর্মীদের জানায় তারা সরকারি স্টাফ না এক্সট্রা কর্মচারী হওয়ার কারণে তাদের বেতন নাই।এজন্য রোগীদের কাছ থেকে বকশিশ নেয়।সময় তার নাম জিজ্ঞেস করলে স্বেচ্ছাসেবক বলে ভেতরে চলে যায়। পরে অন্যান্য স্টাফদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার নাম শিউলি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ওয়াড মাস্টার আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের জানায় কালকে অফিস আওয়ারে তাকে ডেকে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এদিকে এ ঘটনার পরে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকের কাছে এসে হাত ধরে আমার চাওয়ার চেষ্টা করে শিউলি।এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি ভুক্তভোগী রোগী ও রোগীর স্বজনরা এক্সট্রা -কর্মচারীদের নৈরাজ্য বন্ধে হাসপাতাল পরিচালকের দৃষ্টি কামনা করছে।