চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামের খাস জমি ও সড়কের ওপর থেকে তিনটি বড় রেইনট্রি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় খবর পেয়ে তিওর বিলা ক্যাম্পপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল হান্নান তিনি খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও খাস কররা ইউনিয়নের রায়লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত রুস্তম কারিগরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়লক্ষীপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেনের জমির সিমানার খাস জমি ও সড়কের পাশে তিনটি রেইনট্রি গাছ বড় হয়। তবে গাছ তিনটি সরকারি খাস জমির উপরে হওয়ায় তারাও গাছ গুলো কাটে না। গতকাল শনিবার সকালে খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল হান্নান জোরপূর্বক গাছ কাটা শ্রমিক নিয়ে ওই তিনটি গাছ কাটতে যায়। এসময় সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেনের ছেলে স্বাধীন গাছ কাটতে বাঁধা দেয়। তারপর শিক্ষক হান্নান তার লোকজন নিয়ে স্বাধীনের উপর চড়াও হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিওরবিলা ক্যাম্প পুলিশ উপস্থিত হয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় স্বাধীন জানায়, তিনটি রেইনট্রি গাছ আমাদের জমির সীমানায় বড় হলেও তারা কখনো গাছ গুলো কাটেনি। তবে জোরপূর্বক স্কুল শিক্ষক হান্নান তার লোকজন দিয়ে কাটার চেষ্টা করেছিল। আমরা বাঁধা দিলে তারপরও প্রভাব খাটালে পরে পুলিশ এসে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, এই গাছ আমার জমিতে। আমি গাছ আজ অথবা কাল কাটবো যদি কেউ পারে ঠেকাতে বলো।
এবিষয়ে তিওর বিলা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি (পরিদর্শক) এসআই সুকান্ত জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। গাছটি সরকারি খাস জমির উপরে রয়েছে। যদি কেউ দাবি করেন,তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে কাটতে হবে।