আকিমুল ইসলাম : চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজলার সীমান্ত ইউনিয়ন গোয়ালপাড়া হতে গত ২ নভেম্বর প্রায় আধা কেজি স্বর্ণ ছিনতাইয়র ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জীবননগর থানায় মামলা দায়র করেন। স্বর্ণ ছিনতাইয়ের এ মামলার আসামীরা হলন-নতুনপাড়া গ্রামের রাসেল হোসেন (২৫), মিঠু (৪৫), হারুন (৩২) ও সাঈদ (৩০)।
এ মামলা দায়েরের পর পুলিশ পরের দিন ১১ নভেম্বর এজাহারভূক্ত আসামী মিঠুক গ্রেফতার করে। ১২ নভেম্বর গ্রেফতার হয় রাসেল। গ্রেফতারকৃত রাসেলকে গতকাল বহস্পতিবার আদালত সোপাদ করা হয়। এদিকে গ্রেফতার রাসেলকে বাঁচাত গতকাল বহস্পতিবার জীবননগর বাস স্ট্যান্ডর মুক্ত মঞ্চ গোয়ালপাড়া গ্রামবাসীর ব্যানার গুটি কয়েক নারী মামলার বাদি থানার ওসির বিরুদ্ধ অভিযাগ এনে সাংবাদিক সম্মলনের আয়াজন করেন। সাংবাদিক সম্মলনে রাসেলকে নির্দোষ দাবি করা হলেও অভিযাগ ভিত্তিহীন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
থানা ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আকিদুল ইসলাম (৪০) একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তবে তিনি মূলত একজন স্বর্ণ চোরাকারবারী। তিনি পুরাতন ঢাকার তাঁতি বাজার মা বুলিয়া স্টার এন্ড সিলভার হাউজ নামে জুয়েলারি দোকান পরিচালনা করেন। আকিদুল জীবননগর আঁশতলাপাড়ার জুরন মন্ডলর ছেলে শাহ জামালের (৩০) মাধ্যমে গত ২ নভেম্বর ৪৪ ভরি ১৩ আনা ২রতি ৫ পয়েট স্বণ গোয়ালপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় স্বর্ণর মালিক আকিদুল ইসলাম ১০ নভেম্বর জীবননগর থানায় বাদী হয়ে নতুনপাড়া গ্রামের আয়নালের ছেলে রাসেল হোসেন (২৫), মহসিনের ছেলে মিঠু (৪৫), হারুন (৩২) এবং সাঈদকে (৩০) আসামী করে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পর রাতেই জীবননগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভূক্ত আসামী মিঠুকে গ্রেফতার করে। পুলিশ বলছে গ্রেফতারকৃত মিঠু চুয়াডাঙ্গার সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রটর নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবদ্বী প্রদান করেন। জবানবদ্বীত মিঠুসহ ৩ আসামী মিলে স্বর্ণ ছিনতাইসহ ভারতে স্বর্ণ পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন।
জানা গছ, বয়স তরুণ হলেও এ মামলার এক নম্বর আসামী রাসেল ছিলেন কলকাতায় নিহত ঝিনাইদহর-৪ আসনর সংসদ সদস্য আনায়ারুল আজিম আনারের বিশ^স্ত সহচর। ভারত যাওয়ার পূর্ব আনারের রেখে যাওয়া ৫কজি কেজি স্বর্ণ এ সিন্ডিকেট হজম করে। মামলার অপর দুই আসামী হারুন ও সাঈদ পালাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। এ অব¯ায় স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের রাসেলকে নির্দোষ বানাতে মামলার বাদি আকিদুল ও থানার ওসি মামুন হাসন বিশ^াসর বিরুদ্ধ মিথ্যা অভিযাগ এনে গতকাল গোয়ালপাড়াবাসীর ব্যানারে গুটি কয়ক নারী এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন । সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত রাসেলের স্ত্রী তহমিনা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, আকিদুল ইসলাম নাম একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মামলা দায়েরর পর মিঠু ও রাসেলকে গ্রেফতার করে আদালতেন সোপাদ করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার মিঠু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারাক্তিমূলক জবানবদ্বী প্রদান করেছে। স্বীকারাক্তিত ঘটনার সাথে রাসেলসহ অন্যান্যরা জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। এ অব¯ায় পুলিশর গায় কাঁদা লাগাতে সাংবাদিক সম্মেলনের নাম মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
উল্লখ্য, সম্প্রতি সময় জীবননগর সীমান্ত দিয়ে আশঙ্কাজনকহারে স্বর্ণ পাচার বদ্ধি পেয়েছে। গত ১১ অক্টোবার ভারতে পাচারকালে ৫ কজি স্বর্ণ কৌশল লাপাট করা হয়। এ ঘটনায় ৫জন অপহৃত হয়। পরবর্তীত তাদরকে যশারের ঝিকরগাছা উপজলার কুল্লা গ্রামের এক গাোডাউন থেকে গত ৪ নভেম্বর উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ হতে সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযুক্তদরকে নির্দোষ দাবি করা হয়। একই ভাবে গতকাল গোয়ালপাড়া গ্রামবাসীর ব্যানারে আধা কেজি স্বর্ণ ছিনতাইকারী রাসেল ও মিঠুসহ অন্যান্যদের নির্দোষ দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলন করে পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তদের পরিবারের ধারণা সাংবাদিক সম্মেলন করেববক্তব্য তুলে ধরা হলেই দোষিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে যাবে।

