জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের হল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শব্দদূষণের সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে রাতের সময় ট্রাক ও বাসের হর্ণ, চাকা ফাটার শব্দে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বিশ্রাম ব্যাহত হয়। শব্দদূষণের বিষয়টি ও জাকসুর উদ্যোগ জানতে গিয়ে প্রতিবেদক উল্টো প্রশ্নের মুখে পড়েছেন।
শব্দদূষণ নিয়ে জানতে জাকসুর এক প্রতিনিধিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আপাতত এটা লিখার কি কোনো দরকার আছে? এটা লিখতে বলছে কে তোমাকে?”
শব্দদূষণের বাস্তবতা তুলে ধরে জাকসুর সহ–সাধারণ সম্পাদক (নারী) আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা বলেন, “আমি নিজেও নতুন হলগুলোর একটায় থাকি। চাকা বার্স্ট হলে আমার রুমের খাটও কেঁপে ওঠে।”
সমস্যা সমাধানে জাকসুর পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “থানার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি ট্রাক, দূরপাল্লার বাস আর লোকাল বাস—এই তিন সেক্টরের সঙ্গে বসে হর্ণ প্রতিরোধ নিয়ে কথা বলতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।”
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাকসুর পরিবহন সম্পাদক তানভীর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিস্তারিত কাজ শেষ হওয়ার পরে বলব। যখন কথা বলে অ্যাকশন নেব, তখন জানাব।”
জাকসু কি চিঠি দেবে— এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “চিঠি না, আমরা উনাদের সঙ্গে দেখা করব।”
এর পর তিনিও প্রতিবেদকের উদ্দেশে একই প্রশ্ন ছুড়ে দেন— “আপাতত এটা লিখার কি কোনো দরকার আছে? এটা লিখতে বলছে কে তোমাকে?”
তিনি আরও বলেন, “রিপোর্টটা আপাতত লিখো না। আমি কথা বলে জানাচ্ছি।”
তবে কয়েক দিন পার হলেও তিনি আর যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন প্রতিবেদক।
হল এলাকার শিক্ষার্থীরা বলছেন, শব্দদূষণ বহুদিনের সমস্যা হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। রাতের হর্ণ ও ভারী গাড়ির শব্দে তাঁদের দৈনন্দিন জীবন এখনও ব্যাহত হচ্ছে।

