Crime News tv 24
ঢাকাসোমবার , ৪ আগস্ট ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উল্লাপাড়ায় উনুখাঁ পাগলা পীর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গত ১০ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।

Link Copied!

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উনুখাঁ পাগলা পীর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) গত ১০ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও নিয়মিত বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা গ্রহণ করে যাচ্ছেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, শিক্ষক জাহিদ রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং তার বড় ভাই ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত সরকার আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব পালনের সময় তিনি নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে উপস্থিতির স্বাক্ষর করে চলে যেতেন। বর্তমান সরকারের আমলে জনরোষ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি কর্মস্থলে ফিরছেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বলেন, “বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক জাহিদ গত ১০ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তাকে দুইবার কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তার পাঠদানের বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি তিনবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মেডিকেল ছুটির আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি।”

বিদ্যালয়ের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ও উল্লাপাড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, “ছুটির আবেদনের বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাস বলেন, “একজন শিক্ষক এক বছর ধরে অসুস্থ থাকতে পারেন না। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।”

এ বিষয়ে মো. জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে এখন কিছু বলব না। আমি বাইরে আছি, পরে কথা হবে।” এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, জাহিদুল ইসলাম ও তার ভাই একসঙ্গে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন। বিষয়টি শিক্ষা অফিস অবগত থাকলেও এতদিন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে শিক্ষার পরিবেশ আরও নষ্ট হবে