চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর প্রেসক্লাবের নামে দখলদার অবৈধ কমিটির আহ্বায়ক মো. রিপন হোসেন সম্প্রতি প্রেসক্লাব নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন। যা বিলম্বে হলেও আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যা নির্লজ্জ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমন কথা দখলদারদের পক্ষেই বলা সম্ভভ। উক্ত প্রতিবাদের বিষয় নিয়ে জীবননগর প্রেসক্লাব স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে গত এপ্রিল মাসে দ্বিবার্ষিক কমিটি গঠন করা সম্ভবপর না হওয়ায় সাধারণ সভায় বর্তমান কমিটির মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। প্রেসক্লাব প্রতিদিন বিকেলে নিয়মিত খোলা হয় এবং তা ঈশার নামাজ পর্যন্ত খোলা থাকে। গত বছরের ৫ আগষ্টের পর প্রেসক্লাব দখল করার প্রচ্ছন্ন হুমকি-ধামকি আসতে থাকে। চাপ দেওয়া হতে থাকে প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কৃত বিতর্তিক একজনকে আবারও সদস্য করে সাধারণ সম্পাদক করার। কিন্তু প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অপরাগতা প্রকাশ করা হয়। এ অবস্থার মধ্যে আপনিসহ প্রেসক্লাবের আরও ৩জন সদস্যরা ওই রাজনৈতিক শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে গত ১৬ জুন প্রেসক্লাবে সভা করে অবৈধ পন্থায় প্রেসক্লাবের বৈধ কমিটিকে ভেঙ্গে দেয়ার ঘোষণা দেন। যা হাস্যকর। আমাদের কমিটিকে অবৈধ কমিটি বলার ও কমিটি ভাঙ্গার কোন এখতিয়ার আপনাদের নেই। আপানারা ক্ষুদ্ধ হয়ে পাল্টা কমিটি ও প্রেসক্লাব গঠন করতে পারেন। চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে একাধিক প্রেসক্লাব রয়েছে। যার কোনটাই অবৈধ বলার কোন এখতিয়ার কারও নেই। আপনারা আহ্বায়ক কমিটি করতে পারেন; কিন্তু প্রেসক্লাব দখল করতে পারেন না। কারণ প্রেসক্লাবের মেজোরিটি পার্সন ৩২ জন সদস্যর মধ্যে ২৯ জন সদস্যই আমাদের সাথে রয়েছেন। আপনার সাথে আছেন মাত্র দুই জন সদস্য। প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে আমাদেরকে ছিন্নভিন্ন করার অপপ্রয়াস কোন দিনও সফল হবে না। আমরা এখন সারের দোকান, সিমেন্টের দোকানসহ নানা স্থানে বসে সভা-সমাবেশ করবো। প্রেসক্লাব না থাকায় পুরো জীবননগর উপজেলাকে আমরা প্রেসক্লাব বানিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবো। আমাদের বাধা দেয়ার কোন শক্তি নেয়। আপনারা মনে রাখবেন আমাদেরকে মিথ্যা ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় প্রেসক্লাব দখল করেছে ফ্যাসিস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন, প্রেসক্লাব অবশ্যই একদিন আপনাদের ছাড়তে হবে। আপনি ও আপনার সহযোগি রমজান আলীর প্রেসক্লাবে সদস্য পদপ্রাপ্তির বয়স মাত্র দুই বছর। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপনাদের নির্বাহী পদে যাওয়ার কোন যোগ্যতা অর্জিত হয়নি। যেহেতু আপনি পাল্টা একটি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হয়েছেন সেহেতু আপনার সেখানে যোগ্যতা হয়েছে। বিষয়টি আপনি বুঝতে না পারলেও আপনার প্রেসক্লাব দখলদারিত্বের সহকর্মী প্রেসক্লাব থেকে অব্যাহতি নেওয়া শামসুল আলম বেশ ভাল করেই জানেন। কারণ উনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র বিশেষজ্ঞ। আমরা যে অবৈধ কমিটি না সেটাও শামসুল আলম ভাল করেই জানেন। এ বিষয়ে আপনার জ্ঞান সীমিত। প্রয়োজনে তার সাথে বসে পরামর্শ করতে পারেন।
গত ২১ জুন জীবননগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় দ্বি-বার্ষিক কমিটির সভাপতি হিসেবে এম আর বাবু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নূর আলমসহ যে নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে তা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক বৈধ কমিটি। আমরাই জীবননগর প্রেসক্লাবের বৈধ কমিটি। আপনি পাল্টা কমিটির একজন আহ্বায়ক মাত্র। আপনাদের উচিত অবিলম্বে প্রেসক্লাবের দখল দারিত্ব ছেড়ে নিজেদের একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। তা না করলে যে কোন সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যার দায় আপনাকেই বহন করতে হবে।
মো.নূর আলম
নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক
জীবননগর প্রেসক্লাব।