Crime News tv 24
ঢাকাবুধবার , ২১ মে ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ আফরোজ ডলি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে টয়লেট ক্লিন করলেন। চাদাঁ দিতে হবে নিয়মিত।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-
মে ২১, ২০২৫ ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ আফরোজ ডলির বিরুদ্ধে স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন স্কুলের আঙ্গিনা, শৌচাগার পরিষ্কারের জন্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে এক শতো করে টাকার দাবি করেছেন। এবিষয়ে কিছু সংখ্যক অভিভাবক টাকা জমা দিয়েছেন বলেও জানা যায়।

এছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ আফরোজ ডলি অভিভাবকদের কাছে ক্লাসরুমে সিলিং ফ্যান লাগানোর জন্যেও অর্থের দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একাধিক শিক্ষার্থীর বাবা মায়েরা বলেন, স্কুলের নীতিমালা মেনে শিক্ষক,শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা মিলে বিভিন্ন টিম ওয়ার্কের মতো করে বিভিন্ন  ক্লিনিংয়ের কাজ করে থাকে। শিক্ষক,শিক্ষিকাদের অংশগ্রহণে বাচ্চাদের ক্লিনিংয়ের কাজের মধ্যে ছোট থেকেই ডিসিপ্লিন ও দ্বায়িত্ববোধ তৈরি হয়। তাছাড়া যখন গভির পরিষ্কারের কাজ হয়ে থাকে তখন স্কুলের স্লিপের টাকায় সেই সকল কাজ সম্পাদন করবে। শিক্ষকরা নিজেরা হাতেকলমে বাস্তবে পরিষ্কার করে শিক্ষার্থীদের দেখাবেন, বাচ্চারা সাথে সহযোগিতা করবে। এভাবেই তারা শিখবে পরবর্তীতে কি ভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে,  শৌচাগার সঠিক ব্যবহার কি ভাবে করতে হবে।

কিন্তু আমরা বাস্তবে দেখি, শিক্ষকরা বাচ্চাদের হাতে বালতি,মগ,বদনা, ঝুড়ি কোদাল ধরিয়ে দিয়ে দুর থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন ওটা করো এটা করো।  হটাৎ হটাৎ দীর্ঘ অপরিষ্কার অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার পরিষ্কার করাচ্ছে যেটা কখনোই কাম্য নয়। এজন্যেই অভিভাবকদের হয়ত বিষয়টি দেখে খারাপ লাগতে পারে। তবে ব্যর্থতা কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষিকার ভুল ম্যানেজমেন্ট।

প্রচলিত সেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে তোয়াক্কা না করে সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ আফরোজ ডলি ও কিছু সংখ্যক অভিজাত অভিভাবকেরা মিলে নতুন নিয়ম করেছেন। এখন থেকে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা আর এই অংশগ্রহণমূলক পরিষ্কারের কাজ করবে না। সকল শিক্ষার্থীদের  কাছ থেকে বাধ্যতামূলক চাদাঁ নিয়ে  শৌচাগার, ক্লাসরুম,আঙ্গিনা ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্যে আলাদা  আয়া,বুয়া নিয়োগ দেওয়া হবে।

এবিষয়ে একাধিক অভিভাবক বলছেন, নিয়মের বাইরে সরকারি স্কুলে কেনো টাকার দাবি করা হবে? আর সরকারি নীতিমালা প্রধান শিক্ষিকা অমান্য কি ভাবে করেন? অনেক অভিভাবক আছেন তাদের কাছে একশতো টাকাও অনেক টাকা, তারা কেনো বাচ্চাদের সরকারি স্কুলে পড়িয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে চাঁদা দিবেন? আজকে ময়লা পরিষ্কারের জন্যে চাঁদা চাই,কালকে ক্লাসরুমে সিলিং ফ্যান লাগাবো বলে চাঁদা চাই । প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ আফরোজ ডলি কি শুরু করেছেন?

তারা আরো বলেন, সরকারি স্কুলের বাজেট বরাদ্দের কি এতোটাই অভাব পড়েছে, যে স্কুলের বাচ্চাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে ক্লাসরুমে সিলিং ফ্যান, পরিষ্কার করার জন্যে আয়া,বুয়া রাখতে হবে?

উক্ত অভিযোগ সাপেক্ষে কথা হয় কোটচাঁদপুর উপজেলার সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ আফরোজ ডলির সাথে, তিনি সাংবাদিকদের জানান,কিছু অভিভাবকেরা  বলছেন আমাদের বাচ্চারা স্কুলে এসব কাজ করবে না। আমাদের বাচ্চারা কি বাসায় এসব কাজ করে? যে স্কুলে যেয়ে তাদের পরিষ্কার করতে হবে? তখন আমি অভিভাবকদের কাছে টাকার কথা বলি। আর যারা অভিযোগ দিচ্ছে তারা শত্রুতা করে দিচ্ছে।  এছাড়াও তিনি বলেন আমি অভিভাবক মিটিং করে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা সংগ্রহ করেছি আর এই কাজের অনুমতি দিয়েছেন কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম। তিনি সব কিছুই জানেন।

প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ আফরোজ ডলির স্বেচ্ছাচারিতা ও অভিভাবকদের উপরে অতিরিক্ত অর্থের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিষ্কারের বিষটি বাদ দিয়ে চাঁদা তুলে আয়া, বুয়া রাখার  বিষয়ে কথা হয় কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালামের  সাথে, তিনি বিষয়টি শুনে জানান,আমি প্রথমেই  বলেছি এধরণের কোনো কর্মকান্ডে আমার সম্মতি নেই আর এভাবে একটি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে একটি মাত্র স্কুলে টাকা পয়সা তুলে এটা করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে এই বিষয়ে ১০ নম্বর করে দেওয়া হোক তবুও তারা ডিসিপ্লিন মুলক শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে যেতে পারবে না। তিনি আরো বলেন আমি  কোনো ধরনের অনুমতি দেইনি।  আমি সব সময়ই বলেছি এই কাজকর্ম গুলোও শিক্ষারই একাটা অংশ আমরা এটাকে বাদদিতে পারি না। তাছাড়া,স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকদের কোনো ধরনের চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নাই। যদি কেউ এই ধরনের কাজ করে থাকে তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।