Crime News tv 24
ঢাকাসোমবার , ২১ এপ্রিল ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হুমকির মুখে সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি

admin
এপ্রিল ২১, ২০২৫ ৬:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-….

পার্বত্য অঞ্চলের বান্দরবানে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে স্থানীয় উপজাতিদের নিয়ে জলকেলি উৎসব পালন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায।

হুমকির মুখে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সীমান্তে ১০ কি.মি অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির উল্লেখ করে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আরাকান আর্মির ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী বেশ কিছু সদস্য বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের রেমাক্রি মুখ এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তে প্রায় ১০ কি.মি. ভেতরে অনুপ্রবেশ করে। স্থানীয় উপজাতিদের নিয়ে জলকেলি উৎসব পালন করেন। আমরা এঘটনায় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের এলাকা সমূহে আরাকান আর্মির অবাধ বিচরণ ধৃষ্টতাপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক সিমান্ত নিরাপত্তা আইন বিরোধী অপরাধ। আরাকান আর্মির এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও সশস্ত্রবাহিনীর নিকট জোর দাবি জানিয়ে মোঃ মোস্তফা আল ইহযায বলেন, সশস্ত্র দলটি তাদের সংযোগকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র উগ্রপন্থী গ্রুপ গুলো পর্যন্ত সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে যা এই ঘটনায় স্পষ্ট প্রমানীত হয়। এই বিষয়টি আমরা দৈর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলাম। এমনকি এদের সাথে বড় বৈশ্বিক শক্তি ( ভারতের) মত দেশের সংশ্লেষ থাকার কথাও বার বার বলে আসছি, যা আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের মূখ্য কারণ। বাংলাদেশের অভ্যান্তে এসে আরাকান আর্মি জলকেলি উৎসবই পালন করেই ক্ষান্ত হয়নি; ওই উৎসবের ভিডিও সচিত্র সামাজিক গণমাধ্যমে শেয়ার করেছে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউএলএ’ এবং স্থানীয় জনগণ ঘটা করে ওই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের সীমানার ১০ কি.মি ভেতরে অনুপ্রবেশ করে এমন উৎসব করার মাধ্যমে তারা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। এবং আমাদের অনিরাপদ সীমান্ত ব্যবস্থাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর এক মারাত্মক হুমকি এবং উদ্বেগজনক বলে আমরা মনে করছি। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার মত দুঃসাহস কোথায় পেলো আরাকান আর্মি জাতির সম্মুখে অনতিবিলম্বে তা জবাবদিহি করার জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (BGB) প্রতি উদাত্ত আহ্বান করেন। একই সাথে এই ঘটনা বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য চরম ব্যর্থতা বলে মনে করছি। এ ধরনের উদাসীনতা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। এ ব্যাপারে সরকার ও সামরিক বাহিনীর কে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন।

যেকোনো মহূর্তে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (BGB)র সাথে সংঘাতের ঘটনা ঘটে পারে আরাকান আর্মি।পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আরাকান আর্মির সুসম্পর্ক রয়েছে। তারাই আরাকান আর্মির কে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে নিয়ে এসেছে এবং আরাকান আর্মিকে দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধ করানোর ষড়যন্ত্র করছে। জলকেলি উৎসবে উপস্থিত থাকা সকল ব্যক্তিকে অনতিবিলম্ব গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানান। এবং দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে আহবান করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের নির্মূল করতে একটি সামরিক কমিশন গঠন ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার জন্য সরকারের নিকট উদাত্ত আহবান জানান।