রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পেরেশনের গেন্ডারিয়া থানাধীন ৩০ নং শাহ সাহেব লেনে জোর পূর্বক ফ্লাট দখলের অভিযোগ উঠেছে ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন ও আব্দুল রশিদ সহ কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।

ঘটনার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,আল- ফালাহ ডেভোলপার কোম্পানির মালিক আবু তাহের মোল্লার কাছ থেকে শাহ সাহেব লেনের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন (সবুজ) সাময়িক নীড় এর ৮-ক ফ্লাটটি ক্রয় করার জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করেন, ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের এই ফ্লাইটি ডেভোলপার কোম্পানি অন্য মালিকের কাছে বিক্রি করার কারনে ৮-ক এর পাশে ৮/সি ফ্লাটটির কাজ অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায় ডেভোলপার কোম্পানির মালিক পক্ষ ৮/সি ফ্লাটটির বাকি কাজ সম্পূর্ণ করে বসবাস করতপ বলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন (সবুজ) কে, ডেভোলপার কোম্পানির মালিক পক্ষ দেশে এসে বাকি টাকা নিয়ে তার ফ্লাট টি রেজিষ্ট্রেশন করে দিবেন শর্তে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ফ্লাটের কাজ সম্পূর্ণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে চলেছেন,
এদিকে আল ফালাহ ডেভোলপার কোম্পানির মালিক পক্ষ একুই ফ্লাট আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ এবং আব্দুররশিদ এর শালিকা সহ আরো কয়েকজনের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্য করে টাকা গ্রহণ করেছে।
ফ্লাট ডেভোলপার কোম্পানির মালিক পক্ষের সদস্যরা বিদেশে বসবাস করার কারনে এই ফ্লাট টি নিয়ে নিত্য নতুন কোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে।

কিন্তু বিগত ০১-০৮-২৪
তারিখে ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন ও আব্দুর রশীদ ফ্লাটটির ভাড়া দাবী করেন, এবং আব্দুর রশীদের পক্ষ নিয়ে মহিউদ্দিন এবং কয়েকজন স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে ফ্লাটটিতে প্রবেশ করে আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রান নাশের হুমকি প্রদাণ করে, জোরপূর্বক সাদা প্যাডে সিগ্নেচার নিয়ে ফ্লাটটির ভাড়া এবং ফ্লাট টি ৩১-১২-২৪ তারিখের ভিতরে ছেড়ে দেওয়ার জন ভয়ভীতি প্রদান করে চলেছেন। প্লাট মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন এবং আব্দুর রশিদ ও তাদের পোষা ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা।
যার কারনে দির্ঘদিন যাবৎ নিরাপত্তা হিনতায় ভূগছেন নারিন্দার ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজের পরিবার।

প্রসঙ্গত ৫ ই আগস্টের পরবর্তি সময়ে
নারিন্দা ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের সভাপতি মহিউদ্দিন এবং আব্দুর রশিদ ডেভোলপার কোম্পানির কেউ না হবার শর্তেও এলাকার চিহ্নিত আকবর আলী,মো: ইবাদত হোসেন,মারুফ হোসেন, মাহবুব আলম, মো: বাবুল আকতার, সুজন সহ স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিত হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন (সবুজ) এর ফ্লাটটি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
মহিউদ্দিন, আব্দুর রশিদ এবং তাদের সম্মিলত ক্যাডার বাহিনী সদস্যরা ৩০ নং ফ্লাট মালিক সমিতির প্যাডে জোর পূর্বক আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ সহ তার পরিবারের সদস্যদের সহি নিয়ে ভাড়া দাবী করে, এবং ফ্লাট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে জোরপূর্বক চুক্তিবদ্ধ করান!
ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন এবং আব্দুররশিদ সহ তার ক্যাডার বাহিনীর কেন ক্ষমতার বলে অন্যর ফ্লাট দখল নেওয়ার চেষ্টা এবং ভারা দাবী করে, এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
৩০ নং শাহ সাহেব লেনের আশে পাশের বাসিন্দাদের সাথে কতা বল্লে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, গত ৫ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকার যাওয়ার পরে স্থানীয় কিছু ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিত হয়ে বিভিন্ন দলের নাম ব্যবহার করে এ ফ্লাট টি দখলে নেওয়ার মতো, এমন অনেক অব্যধ কার্ষক্রম করে চলেছে গ্রুপটি।
এদের এখন যদি এদেরকে প্রশাসন লাগাম টেনে না ধরে তা হলে এরা দিনদিন আরো ব্যপরোয়া হয়ে উঠবে।

এ বিষয়ে ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের কেয়ারটেকার জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন (সবুজ) সাহেব এবং তার পরিবারের সাথে ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন ও আব্দুর রশিদ বাহিনীর সদস্যরা যা করেছে খুব অন্যায় করেছে, এর একটা ন্যায বিচার হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।

এ দিকে এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ সাংবাদিকদের জানান, আমি ফ্লাটটি ক্রয় করার জন্য ডেভোলপার কোম্পানির কাছে টাকা জমা দিয়েছি যার রশিদ আমার কাছে রয়েছে, এবং ৮/সি ফ্লাটটির অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করি,এবং বর্তমানে এ ফ্লাটটিতে আমি বসবাস করছি,
ডেভোলপার কোম্পানি আমাদের কাউকে যেহেতু রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়নি ফ্লাটটিতে ডেভোলপার কোম্পানি মালিক পক্ষরা আমাকে থাকতে দিয়েছে, তারা বলেছে বিদেশ থেকে এসে ফৃলাটটি রেজিষ্ট্রেশন করে দিবে।
আর এ ফ্লাটটি যদি আব্দুর রশিদ সাহেবকে রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়ে থাকে সে দলিলাদি আমাদের পেশ করুক তা হলে আমরা ফ্লাটটি ছেড়ে দিবো।

বর্তমান সরকারের আমলে এমন বর্বরতার বিচার দাবী করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের আশ পাশের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিনের নাম্বারে ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ হয়নি, যার কারনে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।