যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দুজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিদের গ্রেফতার, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি গ্রেফতার এবং বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সচেষ্ট রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯ নভেম্বর ২০২৫ খ্রীস্টাব্দ, সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার কোতোয়ালি মডেল থানাধীন পালবাড়ির মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যশোর জেলার কোতোয়ালি মডেল থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মানিক কুমার (৫২) ও
মুক্ত কুমার (৩৫), উভয় পিতা- কৃষ্ণ কুমার, মাতা: কল্পনা রানী সাং- শানতলা, থানা: কোতোয়ালি, জেলা: যশোরদ্বয়কে গ্রেফতার করেন। উক্ত মামলার এজাহার বিশ্লেষণে জানা যায়, গত ২৩/০২/২৪ খ্রিস্টাব্দ বাদির ছেলে ও তার বন্ধুরা যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চুড়ামনকাটি এলাকায় নামযঞ্জ অনুষ্ঠান দেখার জন্য গেলে খাওয়া-দাওয়ার বিষয় নিয়ে বাদির ছেলে ও তার বন্ধুদের সাথে আসামী পক্ষের তর্কাতর্কি হয়।
পরদিন ২৪/০২/২৪ খ্রিস্টাব্দ বাদির ছেলের বন্ধুরা যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন মল্লিকপুর এলাকায় নামযঞ্জ অনুষ্ঠান দেখার জন্য গেলে মামলার আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদির ছেলের বন্ধুদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। উক্ত ঘটনায় বাদীর ছেলের বন্ধু জীবন দাস, স্বাধীন দাস, দীপ্ত দাস আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোরে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
পরদিন ২৫/০২/২৪ খ্রিস্টাব্দ বাদির ছেলে চয়ন দাস ও তার বন্ধু অগ্নিদাস, রাজু দাস, সঞ্জীবন দাস, মদন দাস আহতদের দেখার জন্য হাসপাতালে যায়। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাধীন শানতলা গ্রামস্থ পেপসি কোম্পানির প্রথম গেটের সামনে পৌঁছাইলে ধৃত আসামি সহ অন্যান্য আসামীরা বাদির ছেলে ও তার বন্ধুদের উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করলে বাদির ছেলে চয়ন দাস গুরুতর
আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চয়ন দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম চয়ন দাসের বাবা বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর জেলার কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।