কুষ্টিয়ায় চিংড়িতে জেলি মেশানোয় মাছের দুই আড়ৎ ও ৪ মাছ ব্যবসায়ীকে এক লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী। এসময় তিনি জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া পৌর মাছ বাজার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত চিংড়ি পাওয়া যায়। অভিযানে মেসার্স মকুল মৎস্য ভান্ডার ও মেসার্স খোশবার হোসেন মৎস্য ভান্ডার নামের দুই মৎস্য অড়তদারকে প্রতি জন ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া খুচরা বিক্রেতা পাতু মাছের দোকান, রাজু মাছের দোকান ও মনোয়ার মাছের দোকান—এই তিনজনকে প্রতি জন ২ হাজার টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি আরও বলেন, “জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেলী মিশিয়ে চিংড়ী বিক্রি কোনোভাবেই সুযোগ দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ হাসান সোহাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ হাসান সোহাগ জানান, চিংড়ি মাছের মধ্যে ওজন বাড়ানোর জন্য জেলি ঢুকিয়ে মাছ বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই জেলিযুক্ত মাছ খেলে পাকস্থলী, কিডনির রোগসহ শরীরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। এহেন কর্মকান্ড চরম প্রতারণা। জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা। তাই অভিযান পরিচালনা করে ব্যবসায়ীকে এক লাখ ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।