বাগেরহাটের রামপালের খুলনা-মোংলা মহাসড়কের তেতুলিয়া ব্রিজের কাছে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসে থাকা ১০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রামপাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশ, রামপাল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অংশ গ্রহন করে।

জানা গেছে, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুর প্রায় দেড়টার সময় মোংলা থেকে খুলনাগামী খুলনা মেট্রো জ-০৫-০০৩ নং যাত্রীবাহী বাসটি ছেড়ে খুলনা যাচ্ছিল। মহাসড়কের তেতুলিয়া ব্রীজ এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী চট্র মোট্রো ল- ২০-১০৭৫ নং মোটরসাইকেলটি মুখোমুখি চলে আসে। ওই সময় বাস ড্রাইভার সংঘর্ষ এড়াতে সড়কের নিচেয় বাসটি নামিয়ে গাছের সাথে লগিয়ে দেয়। এতে বাসটি উল্টে পড়ে। বাসে থাকা ১০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন জেরিনা বেগম (২৫), গাউস শেখ (৬৫), মল্লিকা বিশ্বাস (৬০), রত্না বিশ্বাস (৩৫), সজল রায় (৪০), রাখি মনি (২৪), সালেহা বেগম (৬০), গুরুদাসী মন্ডল (৬৫), সুব্রত মিস্ত্রি ((৩৫) ও অপর একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষ। নিহতরা হলেন, মোংলা উপজেলার দিগরাজ এলাকার মিস্ত্রী পাড়ারা রবিন (৫০) ও খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার বেলফুলিয়া গ্রামের ইসমাইল মোড়ল (৩৫)। আহতদের বাড়ি বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

খবর পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মোটরসাইকেল আরোহীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রামপাল থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, গত ৪ দিন পূর্বে ওই এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ৩ জন বিএনপি কর্মী নিহত হন।