সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার কয়ড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে উচ্চফলনশীল ও স্বল্প মেয়াদী নতুন ধানের জাত “ব্রি ধান-১০৩”-এর মাঠ দিবস। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), গাজীপুরের ফলিত গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে এবং রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে আমন ২০২৫ মৌসুমে স্থাপিত প্রদর্শনী মাঠে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রি গাজীপুরের ফলিত গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি সিরাজগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হীরেন্দ্র নাথ বর্মণ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোহাম্মদ রেজাউল হক, রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেন্টু রহমান ও নীলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “ব্রি ধান-১০৩” একটি উচ্চফলনশীল, স্বল্প মেয়াদী ও রোগ-পোকা প্রতিরোধী জাত। এর উৎপাদন অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি হওয়ায় কৃষকরা একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলাতে পারবেন। দানার মান উন্নত, আকর্ষণীয় এবং বাজারে এর চাহিদা ক্রমবর্ধমান।
স্থানীয় কৃষকরা মাঠে ফলন দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাদের মতে, এই ধানে সময় ও খরচ কম হলেও ফলন বেশি হওয়ায় লাভজনক হচ্ছে। এক কৃষক বলেন, “ব্রি ধান-১০৩ আমাদের জন্য আশীর্বাদ। কম সময়ে বেশি ফলন পেয়ে আমরা খুশি।”
কৃষি কর্মকর্তাদের ধারণা, ব্রি ধান-১০৩ দেশের আমন মৌসুমে সম্ভাবনাময় এক জাত হিসেবে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। এটি কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।