গত সোম ও মঙ্গলবার খুলনা মহানগরীর কয়েকটা ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়,পুরুষ মহিলাদের উপচে পড়া ভিড়। ডিলাররা উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে এনআইডি কার্ডের ফটো কপি নিয়ে ছিরিয়াল দিয়ে রাখছে। অন্য দিকে,ডিলার পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা সরকারি তদারকি কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয় দেখবাল করছেন এবং সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে মাল বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা পয়েন্টে বসে থাকেন।

এছাড়া ওএমএস ডিলারের লোক সিরিয়াল অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলা ডেকে তাদের ব্যাগে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটার প্যাকেজ তুলে দেন। উক্ত প্যাকেজের সরকারি মুল্য ২৭০ টাকা।
ওএমএস ডিলার যথাক্রমে
মন্জুয়ারা লাভলী,গোলাম সামদানী,মোঃ খবির উদ্দিন, মোঃ স্বপন, বিদ্যুৎ রায়, আরমান শিকদার সেন্টু,শেখ সেলিম, সালাম ঢালী,মাহবুবুর রহমান,গোলাম মুর্শেদ, খালিদ হোসেন রাজন,মোঃ হাচান, শেখ রওশন মুস্তাফিক নয়ন, মনোয়ারা বেগম
(পরিচালনায় সাবু) ও শফিকুল ইসলাম (নিজেস্ব) পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। তাছাড়া ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়,নারী পুরুষের লম্বা লম্বা লাইন। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে চাল আটা কিনতে পারছি। তারা আরও বলেন,আমরা সকাল ৬ টার সময় এসে সিরিয়াল দিয়ে বসে থাকি। চাল আটা নিতে আশা সুফলভোগী,আয়শা বেগম-৬০,
মালতি রায়-৬১,
গফুর গাজি-৬৫, ছাবিনা খাতুন-৫০ ও ফুলমতি বিবি-৬৫ বলেন,ডিসি ফুড তানভীর স্যার হুটহাট করে পয়েন্টে চলে আসে,এজন্য আমরা মালামাল আগের থেকে সঠিক ভাবে বুঝে পাচ্ছি। ডিসি ফুড যোগদানের পর ওএমএস থেকে অব্যস্হাপনা ও দুর্নিতী দুর করে সঠিক জায়গায় দাড় করিয়েছে। ইতি মধ্যে তিনি দু জন ডিলারকে ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
তিনি জানান,আমি চাই গরীবের হক প্রতিষ্ঠিত হোক এবং খাদ্য বিভাগের যাবতীয় দুর্নাম দুর হোক।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন, মহানগরীর ৩১ টা ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭ টা পয়েন্টে ডিলারের মাধ্যমে এবং ৪ টা পয়েন্টে নিজস্ব ব্যবস্হাপনায় চাল আটা বিক্রি হচ্ছে। তবে আমি সব সময় বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখি শত শত লোকের উপস্থিতি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন লোক মুখে শুনি ফজরের সময় থেকে ডিলার পয়েন্টে লোকজন এসে সিরিয়াল দেন। সম্প্রতি ভোর ৬ টার সময় গিয়ে দেখি ঘটনা সত্যি, শত শত লোক উপস্থিত। এসময় খাদ্য দপ্তরের পক্ষ্য থেকে ১০০ জন নারী পুরুষকে ২ কেজি করে চাল ফ্রি বিতরণ করি।